নড়বড়ে অর্থনৈতিক অবস্থা। একেবারে নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। এক বাটি আটার জন্য রাস্তায় নেমে ভিক্ষে করছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন দেশের থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা চাইছে পাকিস্তান। আর সেই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যে দেশ পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান তাদের অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য এভাবে ভিক্ষে করা লজ্জার। এদিকে পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পাসিং আউট প্য়ারেডে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, এভাবে বিদেশ থেকে লোন চাইতে খুব লজ্জা লাগে।
এদিকে সম্প্রতি তিনি ইউনাইটেড আরব এমিরেটসে গিয়েছিলেন। নিউজ ইন্টারন্যাশানাল সূত্রে খবর, তিনি সেখানকার রাষ্ট্রপতির প্রশংসাও করেছেন। তিনি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করার কথা ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবকেও ধন্য়বাদ জানিয়েছেন। তারাও পাকিস্তানকে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছে।
এদিকে শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান সৌদি আরবের কাছ থেকেও সহায়তা চেয়েছে বলে খবর। পাকিস্তান এখন চাইছে আইএমএফের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আগে যেন অন্যান্য দেশ থেকে তারা সহায়তা পায়। সেই আশাতেই এখন দিন গুনছে পাকিস্তান। এদিকে সূত্রের খবর, সৌদি আরব সহায়তা করার আগে পাকিস্তান সম্পর্কে খোঁজখবর করা শুরু করেছে।
তবে বলা হচ্ছে সব দিক থেকেই একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা পাকিস্তানের। আসলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থাও একেবারে টালমাটাল। তার জেরে তারা কোনও দৃঢ় সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না। আইন প্রণেতারাও কার্যত হাত তুলে নিয়েছেন। পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কেরও গচ্ছিত অর্থ ক্রমশ কমছে। এদিকে পাকিস্তানের হাতে সময়ও বেশি নেই।
এদিকে পাকিস্তানের কার্যত এখন দমবন্ধ করা অবস্থা। পাকিস্তানের আশা, আইএমএফ হয়তো দ্রুত এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত কীভাবে সামাল দেবে পাকিস্তান সেটাই এখন দেখার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কী করবে তার কোনও দিশা পাচ্ছে না পাকিস্তান। কার্যত তরী ডোবার মতো পরিস্থিতি। রাস্তা ঘাটে আটার জন্য কাড়াকাড়ি হচ্ছে।
এদিকে আইএমএফের কাছ থেকে লোন পাওয়ার আগে এখন পাকিস্তান চেষ্টা করছে বন্ধু দেশের কাছ থেকে আপাতত কিছু সহায়তা ম্যানেজ করে দেশের টানাটানি কিছুটা সামাল দেওয়া। সৌদি আরব ও ইউনাইটেড আরব আমির শাহি আপাতত সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে কতটা উপকার হবে পাকিস্তানের সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আইএমএফ কতটা সহায়তা করবে সেটাও প্রশ্নের।