গোয়া বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্ত নীল সমুদ্র। সোনালী বালির উপর দিয়ে সূর্যের আভা। গোয়াতে 'রিল্যাক্স' করার জন্য রয়েছে অজস্র পানশালার ব্যবস্থাও। কিন্তু তাতেও মন মজে না কোনও কোনও পর্যটকের। বেআইনি, ক্ষতিকর ড্রাগস নেন তাঁরা। ক্রমেই যেন বাড়ছে এই প্রবণতা।
'গোয়ায় এসে ড্রাগস নেন, এমন পর্যটক আমরা চাই না,' এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন সেই রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী মনোহর অজগাঁওকর।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমরা গোয়ায় এসে বাসে রান্না করে, এমন পর্যটকও চাই না।' আমাদের খালি ধনী পর্যটক চাই।
মনোহরের এই মন্তব্য নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। তবে এএনআই-এর টুইটে এক গোয়ানিবাসী জানিয়েছেন, 'বাসে রান্না বলতে তিনি তাঁদের কথা বলেছেন, যাঁরা এখানে বাসে করে এসে তা দাঁড় করিয়ে রাস্তার ধারে রান্না করেন।' গোয়ার ওই ব্যক্তি জানান, এতে দৃশ্যদূষণ তো হয়ই। এর পাশাপাশি খাবার ছড়িয়ে, জায়গাটা নোংরা করে দিয়ে যান এই ধরণের পর্যটকরা।
মনোহর জানিয়েছেন, 'আমরা সব পর্যটকদেরই স্বাগত জানাই। কিন্তু তাঁদেরও আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো উচিত্। সেটা মেনেই তাঁদের গোয়া উপভোগ করা উচিত্।'
সম্প্রতি এক ক্রুজে রেভ পার্টি থেকে গ্রেফতার হন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। সঙ্গে ছিলেন বেশ বিত্তশালী পরিবারের অল্পবয়সীরাও। এরপরেই সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। বিশেষত দেশের 'পার্টি ক্যাপিটাল' গোয়া এ বিষয়ে আগের থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে।