চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক বুধবারই শাসানি দিয়েছিলেন, দালালি করলে ফাঁড়ির পুলিশকে বেঁধে রাখা হবে। এনিয়ে বিতর্কের রেশ কাটার আগেই বোম বন্দুকের স্টক কতটা রয়েছে তা একেবারে ফলাও করে জানিয়ে দিলেন চোপড়ার হফতিয়াগছের তৃণমূলের উপপ্রধান সাকির আহমেদ। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে উপপ্রধান বেশ জাহির করেই বলছেন, 'এত বোম বন্দুক মজুত করা আছে, ফতেয়াবাদ গ্রামের সব বাড়ি উড়িয়ে দেব ১০ মিনিটে। বোম বন্দুকের টেনশন নেবে না।' এদিকে উপপ্রধানের এই বক্তব্য একেবারে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
অনেকেই বলছেন এত একেবারে বোম বন্দুকের চৈত্র সেল। এদিকে তৃণমূলের উপপ্রধানের এই বার্তাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এনিয়ে উপপ্রধানের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দল সূত্রে খবর, ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
চোপড়া ব্লক তৃণমূল কোর কমিটির চেয়ারম্যান তাহের আহমেদ জানিয়েছেন, ১০ মিনিটের মধ্যে গ্রাম উড়িয়ে দেবে বলছে। ওর কাছে প্রচুর বোম বন্দুক আছে। এসপি, নবান্নকে জানিয়েছি। চোপড়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, হয়তো ভুল করে বলেছে। রবিবার মিটিং ডেকেছি। উভয়পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করব।