রামায়ণ এক্সপ্রেসে পরিষেবা প্রদানকারী স্টাফেদের গেরুয়া পোশাক নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন উজ্জয়িনীর সাধুরা। চিঠিও দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে। ওয়েটারদের পোশাক না বদলালে সফদরজং স্টেশনে ট্রেন আটকে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের আপত্তির মূল কারণ ছিল, এই পোশাক নাকি হিন্দু ধর্মের অবমাননা করছে। তবে এরপর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া পোশাক বদলের কথা ঘোষণা করে দেয় রেল। তবে গেরুয়া রঙের মাস্ক ও গ্লাভস তাঁদের থাকবে। তবে সাধুদের মতো পাগড়ি, রুদ্রাক্ষ তাঁরা আর পরবেন না।
তবে এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, আমরা এ থেকে শিখলাম। আমরা যখন কোনও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করব তখন তার অনেক সংবেদনশীল দিক থাকে। সেক্ষেত্রে কোনও পোশাক, ডিজাইন, খাবার সহ অন্য়ান্য জিনিস গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। এরপর রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই শিক্ষাটা নিয়ে আগামীদিনে আমরা এগিয়ে যাব।
এদিকে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিল শ্রী রামায়ণ যাত্রা স্পেশাল ট্রেনে সার্ভিং স্টাফদের গেরুয়া পোশাক পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। সাধুসন্তদের এনিয়ে জোরালো আপত্তি রয়েছে। তারা পেশাগত পোশাক পরেই কাজ করবেন। এদিকে রেলের এই উদ্য়োগকে ঘিরে খুশি সাধুসন্তরা। উজ্জয়িনী অখন্ড পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অভদেশপুরী বলেন, এটা হিন্দু ধর্মের ও হিন্দু সংস্কৃতির জয়।