ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অ-উর্দু সরকারি স্কুলগুলির নাম জোর করে বদলে দেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবারের বদলে শুক্রবার করে দেওয়া হচ্ছিল। এই নিয়ো তোলপাড় শুরু হতেই এবার সব জেলার ডেপুটি কমিশনারদের সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল যাতে সেই স্কুলগুলির নাম ফের একবার বদলে দেওয়া হয়।
বিজেপি বিধায়ক অনন্ত ওঝাঁর প্রশ্নের জবাবে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জানানো হয় যে ৪০৭টি স্কুলের নামে ‘উর্দু’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। এবং ৫০৯টি স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবারের বদলে শুক্রবার করে দেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৪৫৯টি স্কুলে সাপ্তাহিক ছুটি ফের রবিবার করা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়।
এর আগে ঝাড়খণ্ডের একটি স্কুলে জোর করে ধর্মের নামে প্রার্থনা বদলানোর ঘটনা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুযায়ী, গাড়োয়াতে অবস্থিত কোরওয়াডিহ মিডল স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। বছরের পর বছর ধরে স্কুলে অনুষ্ঠিত প্রার্থনা বদলানোর জন্য প্রধান শিক্ষক যোগেশ রামকে গ্রামের লোকজন চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীর চাপে স্কুলে 'আব দয়া কর দান' প্রার্থনার পরিবর্তে ‘তু হি রাম, তু হি রহিম’ প্রার্থনা শুরু হয়। শিশুদের হাত জোড় করে প্রার্থনা করতেও নিষেধ করা হয়েছিল। এই ঘটনার পরই স্থানীয় সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় যে জামতাড়ার মতো জেলায় বহু সরকারি স্কুলের নামের সঙ্গে ‘উর্দু’ জুড়ে দেওয়া হয়েছে জোর করে।
সরকারের তরফে জানানো হয়, স্কুলের নাম বদলের খবর সামনে আসতেই জেলার সমস্ত ব্লকের বিইইওদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কী পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির নাম পরিবর্তন করে উর্দু করা হয়েছে এবং কার নির্দেশে শুক্রবার স্কুলগুলিতে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, প্রতিটি ব্লক থেকে তার রিপোর্ট তলব করা হয়।