এনডিটিভিতে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে। বিজয় সিংলা নামে এক পিটিশনকারী জানিয়েছেন, এফআইআর করার আগে কোনও ফরেনসিক পরীক্ষা বা পোস্ট মর্টেম করা যায় না। হতে পারে সেই এফআইআর হয়তো মিসিং হয়ে গিয়েছে বা হতে পারে হয়তো আছে। দ্বিতীয় এফআইআর তারা যেটা বলছেন সেটা হয়েছিল মাঝরাতে। সেটা হল ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পরে।
তিনি এনডিটিভিতে জানিয়েছেন, আমার অ্যাডভোকেট বলছেন একটা এফআইআর হয়েছিল ময়না তদন্ত হওয়ার আগে। হতে পারে হয়তো এফআইআর মিসিং হয়ে গিয়েছিল বা হয়তো সেখানেই আছে। দ্বিতীয় এফআইআর ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পরে হয়েছিল।
আর এই ১৪ ঘণ্টা দেরিতে এফআইআর করা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে ওই চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, তাঁরা দেহ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পুলিশের চাপে তাঁরা দাহ করতে বাধ্য হন। এমনকী পুলিশ টাকা অফার করেছিল বলে দাবি করেছে পরিবার।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে যেখানে এত সমস্যা সেখানে কেন আরজি করে দেহ ময়নাতদন্ত করা হল?
এই এফআইআর নিয়েও নানা অসংগতির কথা তিনি জানিয়েছেন। এফআইআরের প্রথম লাইনে ভিডিয়োগ্রাফারের নাম রয়েছে। চালান ছাড়া পোস্ট মর্টেম করা যায় না। কিন্তু সেই চালান জমা দেওয়া হয়নি আদালতে।
রাজ্য় সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, এখানেই সব আছে।
সিংলার আইনজীবী বলেন, ভিডিয়োগ্রাফি কে করেছিলেন? কোনও বিস্তারিত কিছু নেই। রাইটেবল নাকি রিরাইটেবল সিডিতে। কোনও ডিটেলস নেই। সমস্ত চিকিৎসকরাই সেখানে নর্থ বেঙ্গল লবি থেকে। এফআইআরের প্রথম নামেই ভিডিয়োগ্রাফারের নাম শেখর রায়। কিন্তু তার বিস্তারিত কিছু নেই।
সিব্বল বলেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তখন অ্যাডভোকেট বলেন এটা এখন অপ্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, আড়াইটে থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১০টা জিডি হল। এগুলি কি তৈরি করা হল?
মিসিং চালান আর কনস্টেবলের নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে চালান কোথায় গেল? জামাকাপড় ও ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা জিনিসপত্রের তালিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, চালান ছাড়া কীভাবে পোস্টমর্টেম হল? আর অ্য়াডভোকেট কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, আমাকে যেটা বলা হয়েছে যে সিজেএম এটা ফাইল করেছিলেন আর সেটা পাঠানো হয়েছে। পরের বুধবারের পরের শুনানি পর্যন্ত আমায় সময় দেওয়া হোক।
আর চালান নিয়ে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা বলেন, চালান কোথায় গেল? নথি না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে কিছু একটা হয়েছে।