২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উত্তরপ্রদেশে। এর আগে বহু কারণেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে সেই খবরগুলোর সিংহভাগই নেতিবাচক। করোনা আবহে উত্তরপ্রদেশের নদীতে যেভাবে লাশ ভেসে গিয়েছে। বা নদীর তীরে বালিচাপা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে কয়েক হাজার দেহ। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে যোগীর সরকারকে। এই পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। সবকিছু মিলিয়ে কিছুটা চাপেই রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। এই পরিস্থিতিতে হিন্দুস্তান টাইমসের মুখোমুখি হন যোগী আদিত্যনাথ।
হিন্দুস্তান টাইমসকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যোগী বলেন, 'প্রতিটি মানুষ নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে। সেই অনুযায়ী আশা রাখা উচিত সেই ব্যক্তির থেকে। মন্ত্রীরা ক্রমাগত নিজেদের বিধানসভা এলাকাতে গিয়েছেন। দলীয় কর্মীরা কাজ করেছেন। সরকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিধায়ক, দলীয় কর্মী, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই রাজ্যে করোনার পজিটিভিটির হার কমানো সম্ভব হয়েছে। এপ্রিলে যে পজিটিভিটির হার ২২ শতাংশ ছিল। এখন তা ০.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। রাজ্যে পাঁচ কোটি নমুনা টেস্ট করা হয়েছে। করোনার পরবর্তী ঢেউকে রুখতে আমরা প্রস্তুত।'
এদিকে মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে যোগী বলেন, 'সরকার এবং সগঠন একসঙ্গে মিলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়ে মিডিয়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমরা সবসময়ই বৈঠক এবং আলোচনা করে থাকি। ছয় মাস অন্তর অন্তর এরকম বৈঠক করে থাকি আমরা। তবে করোনা অতিমারীর জন্য এবারের বৈঠকে বিলম্ব হয়।'
এরপর ২০২২ এর নির্বাচন নিয়ে যোগী দাবি করেন, '২০২২ সালে বিজেপি অনায়াসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করবে। আমার কথা মনে রাখবেন। এবং নির্বাচনের পর ফের একবার আমার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন না হয়। এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী কৌশল তৈরি হয়নি। খুব শীঘ্রই সেগুলি তৈরি হয়ে যাবে। তবে নিশ্চিত ভাবে সরকারের কাজের উপর ভিত্তি করেই আমরা মানুষের কাছে ভোট চাইব।'
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বাজে ফল নিয়ে চিন্তিত নন যোগী। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচন পার্টির প্রতীকে লড়া হয় না। ২০১৬ সালে সমাজবাদী পার্টি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ আসনে জিতেছিল। তবে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৯০ শতাংশ আসনে হারে। এবারও তাই হবে। ২০২২ সালে ওরা বাজে ভাবে হারবে।