তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলার উপর পর্দা নামিয়ে আনতে পারে। এই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব যেমন আর পাওয়া না যেতে পারে, তেমনই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আরও একাধিক মামা বন্ধ হওয়া প্রায় নিশ্চিত। সাধারণ নাগরিকদের দ্বারা দাখিল করা পিটিশনের ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলা আর হয়ত এগোবে না শীর্ষ আদালতে। তাছাড়া রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অনুমতি চেয়ে কৃষক ইউনিয়নগুলির মামলাও হয়ত প্রত্যাহার করা হতে পারে।
আইনগুলো বাতিল করা হলে আদালতে বিচারাধীন বিষয়গুলো নিষ্ফল হয়ে যেতে পারে। আদালতে বিচারাধীন মামলার একটি সেট রয়েছে যেখানে তিনটি আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। পিটিশনের আরও একটি সেট রয়েছে, যেখানে তিনটি আইনকে সমর্থন করা হচ্ছে। আবার তৃতীয় সেট মামলায়, ব্যক্তিরা ট্রাফিক সমস্যা সমাধানের জন্য এবং কৃষক আন্দোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের যাতায়াতের অধিকার নিয়ে সওয়াল তোলা হয়েছে।
শীর্ষ আদালতে কৃষক ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে এই বিষয়ে বলেন, 'একবার আইনগুলি বাতিল হয়ে গেলে, সুপ্রিম কোর্ট আবেদনগুলিকে নিষ্ফল বলে ঘোষণা করে আদেশ দেবে।' তিনি সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, 'কৃষকরা আইনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকায় সরকার পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের কৃষকদের দৃঢ় সংকল্প আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।' এদিকে সম্ভবত কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলে রাস্তা অবরোধ সংক্রান্ত মামলাগুলিও প্রত্যাহার করা হতে পারেষ
আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে সিঙ্ঘুতে যেমন খুশির হাওয়া লেগেছে; আবার কৃষকদের একটা অংশ ভালো চোখে দেখছে না এই সিদ্ধান্তকে। এই বিষয়ে শেতকারি সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত এই সিদ্ধান্তকে 'দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত কৃষক বা দেশের কারও পক্ষেই নয়। তিনি বলেন, 'পুরনো আইনগুলি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এবং মজুদ সীমার মতো অস্ত্র ব্যবহার করে কৃষি পণ্যের দামের দাম কমিয়ে কৃষকদের উপর প্রচুর বিধিনিষেধ আরোপ করত। কৃষকদের শোষিত হচ্ছিল। আন্দোলনকারী কৃষকদের তাদের নেতারা বিভ্রান্ত করেছিল যে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য চলে যাবে এবং কোম্পানিগুলি তাদের জমি কেড়ে নেবে। বাস্তবতা সম্পর্কে কৃষকদের বোঝানোর জন্য সরকার সঠিকভাবে কাজ করেনি।' আসন্ন পাঁচ রাজ্য নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ 'রাজনৈতিক'। উল্লেখ্য, কৃষি আইন খতিয়ে দেখার জন্য আদালত-নিযুক্ত কমিটির সদস্য ঘানওয়াত।