অবিনাশ কুমার
টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনার তদন্তে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডি–র একটি দল পৌঁছল পটনায়। ৪ অক্টোবর রাতে মণীশ শুক্লকে সামনে থেকে গুলি করে খুন করে বাইকে আসা একদল দুষ্কৃতী। এ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংয়ের। সে এখন বিহারের বেউর জেলে বন্দি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিহারে হাজির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিআইডি আধিকারিকের দাবি, ‘এই সুবোধই মণীশ শুক্লকে খুন করতে বিহার থেকে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছে। এমনকী তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের জোগানও দিয়েছে সুবোধ। এই ঘটনায় গ্রেফতার মহম্মদ নাসির খানের কাছ থেকে এই সব তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।’ পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকবাজদের সন্ধানে সুবোধ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাসির খান। সিআইডি–র অনুমান, জেলে বসেই মণীশ শুক্লকে খুনের ছক কষেছে সুবোধ সিং। জানা গিয়েছে, সুবোধকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বিহারের স্থানীয় আদালতে আবেদন জানাবে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্ত করে সিআইডি জানতে পেরেছে, ২০১৭ সালে দলবল দিয়ে আসানসোলে স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থা মুত্থুট ফিনান্সে ডাকাতি চালায় সুবোধ সিং। ওই ঘটনায় নগদ আর সোনা (প্রায় ২৮ কেজি) মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার সামগ্রী এবং সিসিটিভি–র হার্ড ডিস্ক নিয়ে পালায় সশস্ত্র ৭ জন ডাকাত। ২০১০ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে এক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় জড়ায় সুবোধ সিংয়ের নাম।
এদিকে, মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহম্মদ খুররম খান, ভাড়াটে খুনি গুলাব শেখ, নাসির খান ও সুবোধ যাদব। মণীশ শুক্লর বাবা চন্দ্র মণি শুক্ল ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন। যাঁদের মধ্যে দু’জন তৃণমূলের শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।