রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্দেশখালিতে যৌন হেনস্থার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয় সোমবার। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের যুক্তি ছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের অধীনস্থ বিষয়। সেখানে হাই কোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ রাজ্যের ক্ষমতাকে খর্ব করে। এদিকে রেশন মামলা নিয়ে রাজ্যের দাবি ছিল, পুলিশ নাকি বিগত চার বছর ধরে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করছে, তাই সেই তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের হাতেই দেওয়া হক। (আরও পড়ুন: আগামী ৩ মাসও পোয়া বারো রাজ্য সরকারি কর্মীদের, মিলবে বাড়তি DA, বরাদ্দ ১১২৯ কোটি)
আরও পড়ুন: 'বিফ পাস' দেন শান্তনু, মহুয়ার অভিযোগের পরে BSF বলল, 'এগুলো রুটিন পার্মিট'
আরও পড়ুন: সীমিত সময়ের জন্যে কয়েকশো টাকা সস্তায় মিলছে ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার!
আরও পড়ুন: চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ভাবনা সরকারের, ঘরোয়া বাজারে পড়বে কোন প্রভাব?
এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়ই সন্দেশখালির ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, এই ঘটনায় পুলিশে যে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে, তার মধ্যে ৪২টিতেই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এদিকে সিংভি আরও দাবি করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় যে তিল কে তাল করা হয়েছিল, তার প্রমাণ স্বরূপ একাধি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনা রাজ্য সরকারের নাম খারাপ করার জন্যে সাজানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সিংভি। তবে রাজ্য সরকারের এই সব যুক্তিই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। (আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতে উঠেই বিপাকে বিরাট কোহলি, বেঙ্গালুরুতে FIR তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে)
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতে যোগ হয়েছে ৪.৭ কোটি চাকরি, দাবি RBI রিপোর্টে
আরও পড়ুন: ভিস্তারা মিশবে এয়ার ইন্ডিয়ায়, এয়ার এশিয়ার মার্জার হবে AI এক্সপ্রেসে, সম্মতি DGCA
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শংকর আঢ্যও এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। এদিকে সন্দেশখালিতে এই শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। তারপরই স্থানীয়দের বিক্ষোভ সামনে এসেছিল। একের পর এক শাহজাহান এবং তার ঘনিষ্ঠদের কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে যৌন হেনস্থার। বাংলা সহ গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছিল। প্রবল চাপে পড়েছিল রাজ্যের শাসকদল। এরপর সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের পর্ব–১ এবং পর্ব–২ বলে দুটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যার জেরে বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি চরমে ওঠে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি ইচ্ছে করে সন্দেশখালির ঘটনা সাজিয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্যে। ভিডিয়োতে সন্দেশখালির এক স্থানীয় বিজেপি নেতাকেই এই সব বলতে শোনা গিয়েছিল। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আর্জিও জানিয়েছিলেন এক নির্যাতিতা।