শিক্ষাক্ষেত্রে বেলাগাম দুর্নীতি আর নিয়োগ নিয়ে একের পর এক মামলা চলছে রাজ্যে। টেট থেকে উচ্চস্তরের পড়াশোনা সংক্রান্ত মামলাগুলিতে রীতিমতো জেরবার রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই যেন সামান্য স্বস্তি পেল বাংলা। কেন? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ইকনিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের তরফে শিক্ষাসংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এককথায় সেটি সারা ভারতের শিক্ষাসংক্রান্ত উন্নয়নের স্কোরকার্ড। তাতেই দেখা গেল, পশ্চিমবঙ্গের মার্কস অনেকটা বেশি। তবে এটুকুই শুধু নয়। পাশাপাশি দেখা যায় নম্বরের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে উত্তর প্রদেশ। যা দেখে রীতিমতো হাতে চাঁদ পেয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: '১২ ঘণ্টার মধ্যে…', মাধ্যমিকে ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র 'ফাঁস' নিয়ে বড় আপডেট পর্ষদের
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য জহর সরকার টুইটারে সেই রিপোর্ট শেয়ার করেন। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন শেয়ার করে তারই হেডলাইন তুলে দেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘১০ বছরের কম বয়সিদের পড়াশোনায় সারা দেশে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, অন্যদিকে সবচেয়ে তলায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ!’ এমন অভাবনীয় ফলের জন্য নিজের রাজ্যকে অভিবাদনও জানান তিনি। অভিবাদন জানান মুখ্যমন্ত্রী আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টুইটার পোস্টে তাদের ট্যাগ করেন জহর। একইসঙ্গে ট্যাগে ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরের টুইটার পেজ। একইভাবে রিপোর্ট শেয়ার করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু। কিছু বিতর্ক হলেও রাজ্যে যে শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কাজ হচ্ছে সেটার ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে রোল নম্বর লেখা কাগজ! উদ্ধার হওয়া নথিতে রহস্যময়ী হৈমন্তী
কী বলছে রিপোর্ট?
প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল প্রকাশ করে ফাউন্ডেশনাল লিটেরেসি ও নিউমেরেসি রিপোর্ট ২০২৩। যা আসলে সারা ভারতের সব রাজ্যের আলাদা আলাদা করে শিক্ষাসংক্রান্ত উন্নয়নের স্কোরকার্ড। কোন ধরনের শিক্ষায় কোন রাজ্য কতটা এগিয়ে তা বলে দেয় এই রিপোর্ট। এই দিনের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, ১০ বছরের কম বয়সি অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনায় এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব যার নম্বর ৬৪.১৯। অন্যদিকে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ ৫৪.৯৮ নম্বর পেয়েছে। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হাল উত্তরপ্রদেশের। সে রাজ্যের নম্বর মোটে ৩৭.৪৬। অর্থাৎ দিদির রাজ্য থেকে ১৭ পয়েন্টে পিছিয়ে যোগীর রাজ্য। মোট পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে রিপোর্টে নম্বর দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে, শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, পড়াশোনার সুবিধা পাওয়া, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য, সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থা ও পড়াশোনার ফলে প্রাপ্ত শিক্ষার মান। সেইগুলির ভিত্তিতেই বেশ কাহিল দশা যোগীর রাজ্যের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup