ইয়াসের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ পশ্চিমবঙ্গকে ৫৮৬ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে কেন্দ্র। যদিও এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছিলেন যে রাজ্যে ইয়াসের জেরে ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তবে বৃহস্পতিবার অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যে ইযাসের ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলা পাবে ৫৮৬ কোটি টাকা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মোট ছয় রাজ্যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খতিয়ানের পর মোট ৩ হাজার ৬৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বিশেষ আর্থিক সাহায্য করকরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল’ এই ক্ষতিপূরণের এক তৃতীয়াংশ যাবে গুজরাতের কোষাগারে। ঘূর্ণিঝড় তাউটের ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুজরাতকে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড় ছাড়াও বন্যা, ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য। অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসম, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো রাজ্য। এর জন্য কর্ণাটককে ৬০০ কোটি ৫০ লক্ষ, অসম ৫০৪ কোটি ৬ লক্ষ মধ্যপ্রদেশ ১৮৭ কোটি ১৮ লক্ষ এবং উত্তরাখণ্ড ৫১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র।
এর আগে ইয়াসে রাজ্যর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে গত জুন মাসে তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এসকে শাহানির নেতৃত্বের টিমের সদস্যরা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন এই সফরকালে। তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন। কলকাতা সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেও তাঁরা যান। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সুন্দরবন উপকূলে। কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপরই ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষতির হিসাব দেখানো হয়েছে ২০০০০ কোটি টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট অন্য হিসেব দমা দিয়েছে মন্ত্রকে।