বিশ্বজুড়ে Covid-19 সংক্রমণের রমরমার মাঝেই চিনে ফের চালু হল ‘ওয়েট মার্কেট’, যেখানে রসনাবিলাসীদের জন্য বিক্রি হচ্ছে বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন ও কুকুরের মাংস।
বেজিংয়ের এই সিদ্ধান্তকে বিপজ্জনক মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বাদুড়ের মাংস খেয়েই চিনে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন হুবেই প্রদেশে বছর পঞ্চান্নর এক বাসিন্দা। তাঁকেই বিশ্বে প্রথম করোনা আক্রান্ত মানুষ হিসেবে গণ্য করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ‘আ মেল অন সানডে’ পত্রিকার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে আমেরিকার সংবাদসংস্থা ওয়াশিংটন একজামিনার জানিয়েছে, ‘চিনে এই বাজারগুলি করোনা সংক্রমণের আগে যেমন চালু ছিল, ঠিক সে ভাবেই ফের খোলা হয়েছে।’
তবে বাজারে কড়া নজরদারি বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ যাতে রক্তমাখা মেঝে, কুকুর ও খরগোস হত্যার দৃশ্য অথবা খাঁচাবন্দি ভয়ার্ত পশুদের ছবি কেউ না তুলতে পারেন।
চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের হুয়ানান সিফুড মার্কেটকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতুরঘর বলে চিহ্নিত করেছে সারা বিশ্ব। এখান থেকেই ভয়াবহ ভাইরাসের উৎপত্তি হয় যার প্রকোপে শুধু আমেরিকাতেই প্রাণ হারিয়েছেন এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮,০০০ নাগরিক।
গত ১২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছিল, উহানের একটি বাজার থেকেই যে Covid-19 সংক্রামিত হয়েছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
তার পরে ৪ মাস কেটে গেলেও বিশ্বজুড়ে করোনার দাপট বিন্দুমাত্র বাগে আনা যায়নি। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণ ঠেকাতে অথবা রোগ নিরাময়ের জন্য অব্যর্থ ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।
ওয়াশিংটন একজামিনার সংবাদসংস্থার চিনের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ‘এখানে সকলেই বিশ্বাস করছঞেন যে সংক্রমণের বিপদ কেটে গিয়েছে এবং এখন আর দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁদের ধারণা, এই সংক্রমণ নিছক বিদেশ থেকে আগত সমস্যা, যা থেকে এখন মুক্তি পাওয়া গিয়েছে।’
ইতিমধ্যে চিনের এই ওয়েট মার্কেটগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিশ্বের একাধিক বিজ্ঞানী। তবে তাতে বিশেষ হেলদোল নেই বেজিংয়ের। ভুল থেকে যে কোনও শিক্ষা নেয়নি চিন, এই পদক্ষেপে তা আরও স্পষ্ট হল।