অন্যান্য শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অবিলম্বে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ব্যবস্থা বাতিল করা হোক। মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদ পি সি মোহনের দাবি ঘিরে শুরু হল নতুন বিতর্ক।
বেঙ্গালুরু সেন্টার্ল কেন্দ্রের তিন বারের জয়ী বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, দেশের এক তৃতীয়াংশ তথ্য প্রযুক্তি রফতানিকারী রাজ্যে প্রযুক্তি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থা রদ করা হোক। এ দিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন পরিবহণ বা হোটেল ব্যবসা এবং আতিথেয়তা ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেট সেক্টরে রক্ষণাবেক্ষণ পরিষেবায় কর্মরত কর্মীদের উপরে প্রযুক্তি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যখন অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজের আবহ চালু হয়ে গিয়েছে, তখন প্রযুক্তি কর্মীদের ক্ষেত্রে কেন ব্যতিক্রম হবে? বেঙ্গালুরুর মতো শহরে প্রযুক্তি কর্মীরা যে অর্থ ব্যয় করেন, তা অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের আয়ের সংস্থান করে। তাই তাঁরা ঘরে বসে কাজের সুবিদা পেলে অন্য ক্ষেত্রে কর্মরতরা তার কুফল ভোগ করছেন।’
এই বিষয়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিইউরাপ্পাকে অনুরোধ জানাবেন বলেও এ দিন বলেছেন মোহন। তাঁর প্রশ্ন, ‘যখন বিমান, ট্রেন ও বাস পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে, তখন কী কারণে প্রযুক্তি কর্মীরা অফিসে যাবেন না? নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার ওঁরা করুন, কিন্তু তাঁদের স্বাভাবিক কাজে ফিরতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, দেশের বেশিরভাগ প্রযুক্তি সংস্থা তাঁদের কর্মীদের কমপক্ষে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি শিল্প উপদেষ্টা লক্ষ্মী বিশ্বনাথ সাংসদের দাবি শুনে বলেন, ‘সাংসদের দাবি হাস্যকর। অতিমারী পরিস্থিতি সংস্থাগুলিকে বুঝিয়েছে, ঝুঁকি এড়াতে বেশ কিছু কাজ কর্মীরা বাড়ি বসেই অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন। এ যেন নির্মাণ শিল্পে শ্রমিকদের গ্রাসাচ্ছাদনের স্বার্থে আমাদের যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া থেকে বঞ্চিত করার সমান। এখনও সব কর্মীকে অফিসে ফেরানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না অধিকাংশ সংস্থা। আমার মনে হয়, এই ব্যবস্থা হয়ত পাকাপাকি ভাবেই কায়েম হয়ে গেল।’