ইন্ডিয়া জোটের মুখ কে হবেন? এনিয়ে এখনও নির্দিষ্টভাবে কোনও নামকে সামনে আনেনি জোট নেতৃত্ব। তবে তৃণমূল এমপি কীর্তি আজাদ বেশ জোরের সঙ্গে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে গণ্য করা হোক। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটা যথাযথ রেকর্ড রয়েছে। যখনই নরেন্দ্র মোদী হারের মুখে পড়েছেন সেটা হল পশ্চিমবঙ্গে। এমনকী সম্প্রতি উপনির্বাচনে বিজেপির যেখানে একটা আসন ছিল আর আমাদের ছিল পাঁচটি সেখানে মমতা দিদি পেয়েছেন ৬ এ ৬ আর মোদী বাংলার বাউন্ডারি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।
কীর্তি আজাদ জানিয়েছেন, যখন ভারত সরকার বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে কিছুই করেনি তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ভারত সরকার যদি পদক্ষেপ না করে তখন সংখ্য়ালঘুদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রসংঘের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেবলমাত্র একজন নেত্রী নন তিনি একটা আন্দোলনের নাম যা বাংলার প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে।
কীর্তি আজাদ বলেন, মমতা দিদি সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। তিনি যখন কোনও জরুরী মিটিং ডাকেন তখনও তিনি দেখে নেন সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না।
তবে তৃণমূল এমপি কীর্তি আজাদের এই বক্তব্যকে কার্যত নাকচ করে দেন কংগ্রেস এমপি মানিকাম টেগোর। তিনি বলেন এটা একটা ভালো জোকস। কার্যত মমতাকে ইন্ডিয়া ব্লকের মুখ করার বিষয়টি উড়িয়ে কার্যত হালকা রসিকতা করলেন কংগ্রেস এমপি।
দেশের বিজেবপি বিরোধী বিভিন্ন শক্তিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। সেই ইন্ডিয়া জোটের মধ্য়ে যেমন কংগ্রেস রয়েছে তেমনি তার মধ্য়ে তৃণমূলও রয়েছে। এবার লোকসভা ভোটে বিজেপিকে আটকাতে তৈরি হয়েছিল এই ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু বাস্তবে সেই ইন্ডিয়া জোট বিশেষ সফল হয়নি এনডিএকে সরাতে। এনডিএ ফের ক্ষমতায় এসেছে কেন্দ্রে। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের মুখ কে?
তবে এক্ষেত্রেও এতদিন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব সরাসরি এনিয়ে মন্তব্য করেননি। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বার বারই দাবি করেছিলেন ইন্ডিয়া জোটের শক্তিশালী মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ রাহুল গান্ধীর হয়ে সওয়াল করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। তবে এবার ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসাবে মমতাকে তুলে ধরলেন তৃণমূল এমপি কীর্তি আজাদ।