লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সেদিনের সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। ভোটের ঠিক একমাস আগে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছিল। আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী সেদিনের কথা তুলে ধরেন। ফান্ডের অভাবে তাঁরা বিজ্ঞাপন দিতে পারছিলেন না,, প্রচার করতে পারছিলেন না। সেকথাও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী সেদিনের সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তিনি সেই সময় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলের কোষাধক্ষের সঙ্গে গোটা বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তবে সেই সময় কোষাধক্ষ্য ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
রাহুল বলেন উনকি তো হাওয়া নিকাল গয়ি থি, এরপর কী করবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না।
রাহুল জানিয়েছেন এর আগেও অনেক ভোটে নেমেছি। কিন্তু এভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা হয়নি। রাহুল গান্ধী বলেন, জীবনে প্রথমবার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল। আমি বলেছিলাম দেখি যায়েগি, দেখতে হ্যায় কেয়া হোতা হ্যায়। দেখা যাক কী হয়! কার্যত এই মনোভাব নিয়েই ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভারতে শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, মৌলিক অধিকার নিয়েও লড়াই করা। তিনি বলেন, ভারতে একজন শিখ পাগড়ি পরতে পারবেন কি না গুরুদোয়ারায় যেতে পারবেন কি না সেটা নিয়েও লড়াই। এটা কেবলমাত্র শিখদের নয়, সব ধর্মের।
রাহুল বলেন, ভোটের আগে মোদীকে নিয়ে মানুষের যে ভয় ছিল সেটা ভোটের রেজাল্টের পরেই উবে যায়।
রাহুল বলেন, ভোটের পর যেন সবকিছু বদলে গেল। মোদী একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখতে চাইতেন। একাধিক এজেন্সি, মিডিয়া, আয়কর দফতর সবাই মিলে ভয় দেখাত। এমনকী ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদেরও ভয় দেখাত। কিন্তু সেই ভয় উধাও হয়ে গিয়েছে। আমি বলতে পারি যে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি, ভগবানের সঙ্গে সোজা যোগাযোগ সব ভ্যানিশ হয়ে গেল।
অন্যদিকে রাহুল অন্য প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আপনার যদি মনে হয় কী হচ্ছে গোটা দেশে সেটা হল লক্ষ লক্ষ একলব্যের গল্প, রোজ এই একই স্টোরি। দক্ষ মানুষদের এখানে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা সর্বত্র হচ্ছে।’
‘দক্ষতাকে সম্মান জানানো, তাদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা এভাবেই ভারতের ইতিবাচক দিকগুলি সামনে আসবে। ভারতের মোট জনসংখ্যার ১-২ শতাংশকে শক্তিশালী করে আপনি ভারতের পুরো শক্তির ব্যবহার করতে পারবেন না।’