ভারত এবং চিনের বিষয়ে সহমত পোষণ করলেন বাইডেন প্রশাসনের বিদায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান এবং এই পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত মাইকেল ওয়াল্টজ। উভয়েরই মতে, ভারত হল আমেরিকার পার্টনার। এবং চিন দীর্ঘকালীন মেয়াদে আমেরিকার জন্যে চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতই বন্ধু হয়ে উঠবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। উল্লেখ্য, সরকার বদলের আগে গতকাল সালিভান এবং ওয়াল্টজ একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানেই ওয়াল্টজকে সালিভান তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিষয়ে জানান। সালিভান দাবি করেন, ভারতে ওয়াল্টজকে সবাই পছন্দ করেন। (আরও পড়ুন: ১৫ মাসে মৃত্যু প্রায় ৫০ হাজারের, গাজায় কোন পথে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি?)
আরও পড়ুন: 'আশা করছি...', গাজায় ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের SpaceX-এর রকেটে চেপে মহাকাশে ৩ ভারতীয় স্টার্টআপের স্যাটেলাইট
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে ইন্ডিয়া ককাসের কো-চেয়ার হিসেবে নিজের ভূমিকা তুলে ধরেন ওয়াল্টজ। সেই সময় জেক সালিভান মজা করে বলেন, 'এরপরে আমি ভারতীয় স্পাইস ককাসের চেয়ারম্যান হতে পারব।' উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক নির্বাচনে সালিভানের স্ত্রী ম্যাগি গুডল্যান্ডার মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে চিনের বিষয়ে জেক সালিভান বলেন, 'আমরা চিনের চ্যালেঞ্জের দিক থেকে নজর সরাতে পারব না। আমাদের নিজেদের দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। চিনের অনৈতিক অর্থনৈতিক নীতি এবং সম্প্রসারণ নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।' এদিকে ওয়াল্টজের মতে, আমেরিকার কাছে বর্তমানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দক্ষিণের মেক্সিকো সীমান্ত। এদিকে চিন প্রসঙ্গে ওয়াল্টজ বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, আমরা চিনের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে পারি। কারণ তাদের আমাদের মার্কেট প্রয়োজন। সেই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপাত্তা নিশ্চিত করব।' এরই সঙ্গে ওয়াল্টজ বলেন, কোয়াড, অস্ট্রেলিয়া-ইউকে-ইউএসএ, আমেরিকা-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা-জাপান-ফিলিপিন্স বহুপাক্ষিক জোটগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি বিশেষ করে ভারতের কথা উল্লেখ করতে চাই। কারণ ভবিষ্যতের জন্যে তারা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হতে চলেছে।' (আরও পড়ুন: ১০ বছর পলাতক, FBI ১০ মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এই ভারতীয়, মাথার দামে মুখ হবে হাঁ)
উল্লেখ্য, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়াদকালের শেষ বিদেশ সফর হিসেবে ভারতে এসেছিলেন জেক সালিভান। এখানে এসে তিনি অজিত ডোভাল, এস জয়শংকর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি আদানপ্রদান এবং সমুদ্রপথে নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছিল জেক এবং জয়শংকরের। সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের পরে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জয়শংকর লিখেছিলেন, 'দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়। গত চার বছরে আমাদের খোলামেলা আলোচনার মর্ম আমি বুঝি।' এদিকে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক উন্নতির ক্ষেত্রে সালিভানের ব্যক্তিগত অবদানকে বিশেষ ভাবে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন জশংকর। অপরদিকে ট্রাম্পের প্রশাসনে এনএসএ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দু'বার ফোনে কথা হয়েছে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের।