লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় শনিবার চিনের সেনাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে মারা গিয়েছেন তিনজন ভারতীয় সেনা। এর মধ্যে একজন কম্যান্ডিং অফিসার। প্রতিরক্ষাসূত্রে জানা গিয়েছে চিনের দিকেও কিছু সেনা মারা গিয়েছেন যদিও সংখ্যা জানা যায়নি। কিন্তু তারপরেই বিরোধীরা মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের দলগুলি সরাসরি প্রশ্ন করেছে যে ঠিক কী করবে ভারত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে। উল্লেখ্য, গতবছর অবধি লাদাখ ছিল জম্মু-কাশ্মীরের অংশ। তারপর কেন্দ্র ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে দেয়। রাজ্যের মান্যতা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরও। কেন্দ্রীয় শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধান বলেন যে গত ছয় বছর ধরে তো অনেক হল, কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। গুলাম আহমেদ মির বলেন যে কোভিড থেকে নজর ঘোরানোর জন্য আক্রমণ করছে চিন। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা যে কোনও সরকারের কর্তব্য। সরকারের কুটনৈতিক ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত, না হলে সেনাকে নির্দেশ দেওয়া হোক আমাদের ভূমি সুরক্ষিত করার জন্য । অচলাবস্থা চলতে পারে না, সাফ জানান তিনি।
প্রাক্তন জম্মু-কাশ্মীর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন যে সেনা কমানোর সময় যদি এরকম ঝামেলা লাগে, তাহলে আসলে ঠিক কতটা গণ্ডগোল রয়েছে, সেটা ভাবুন। অন্য একটি পোস্টে তিনি বলেন যে গুলি যখন চলেনি, তাহলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে সেনাদের।
পিডিপি-র সচিব বেদ মহাজন বলেন যে পালটা মার দরকার। এটা ১৯৬২ নয়, এটা ২০২০। ওই আগের কথা বলে কোনও লাভ নেই। মেহবুবা মুফতির টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর মেয়ে ইলতিজা লেখেন যে চিনের সামনে ভারতের ঘর মে ঘুসকে মারেঙ্গে রণনীতি কোথায় গেল। কেন প্রত্যাঘাতের কোনও কথা বলা হচ্ছে না, সেটা সবাই জানতে চায় বলে টুইটারে পোস্ট করেন তিনি।