জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে নয়, এখনই অনুভব করেছে মানবসমাজ। আর তার নবতম নিদর্শন কানাডা। প্রবল তাপপ্রবাহে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে তাপমাত্র পৌঁছল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা কিনা কানাডার সর্বকালীন রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
শুষ্ক তাপের ফলে দাবানলও বাড়ছে হু হু করে। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বেশ কয়েকটি অরণ্য এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
ভ্যাঙ্কুভারে এখনও পর্যন্ত প্রবল তাপপ্রবাহে ৬৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা যাচ্ছে তাপপ্রবাহের প্রভাব।
কিন্তু কেন এভাবে তাপপ্রবাহ হচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (NOAA) ব্যাখা অনুযায়ী, এর জন্য দায়ী হিট ডোম বা তাপ গম্বুজ (Heat Dome)।
সমুদ্রের উষ্ণ বায়ু যখন বায়ুমন্ডলের নির্দিষ্ট অংশে টুপি বা গম্বুজের মতো জমা হয়ে যায়, তাতে হিট ডোম বলে।
সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এটি হয়। সমুদ্রের উষ্ণ বাতাস বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে পূর্ব দিকে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জেট স্ট্রিমের উত্তর দিকের অবসরণে সেই বাতাস আটকে ভূ-খণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর ভূ-খণ্ডে যত নিচে নামছে এই উষ্ণ বায়ু, ততই তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে।
কতদিন থাকতে পারে এরকম হিট ডোম?
সাধারণত ১ সপ্তাহের আশেপাশে থাকতে পারে এ ধরণের হিট ডোম।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং হিট ডোম
পরিবেশবিদ এবং আবহবিদরা ক্রমাগতই জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন দিকের কথা গবেষণায় তুলে ধরেছেন। ২০১৭ সালে NOAA-এর একটি সার্ভে অনুযায়ী ১৯ শতকের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বৃদ্ধির পরিমাণ সামান্য কয়েক ডিগ্রি মনে হতেই পারে, কিন্তু এর প্রভাব যে কতটা হতে পারে, তা বর্তমানে বোঝা যাচ্ছে।
আগামী কয়েক দশকে হিট ওয়েভ আরও বৃদ্ধি পাবার পূর্বাভাস দিয়েছেন গবেষকরা।