স্মৃতি কাক রামচন্দ্রন
গড় দখলে রাখতে কোনও মতেই একচুলও জমি ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। মোদী-গড় হিসাবে পরিচিত গুজরাতের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ সালের শেষের দিকে হওয়ার কথা। তার আগে থেকে বিজেপির হোমওয়ার্ক তুঙ্গে রয়েছে বলে খবর। এছাড়াও ২০২৪ সালের ভোট স্ট্র্যাটেজির রোডম্যাপেও ব্যস্ত রয়েছেন বিজেপি নেতারা। সেই দিক থেকে আপাতত বিজেপি ফোকাস বাড়াচ্ছে দলের দলিত ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে।
ভোট-অঙ্কের হিসাবে দেখা যায় দলিত ভোটব্যাঙ্ক মূলত বিএসপির দখলেই থেকে যায়। তবে এবার তা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া মোদী-শাহরা। গুজরাত ভোটের আগে তপশিলী জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়কে মাথায় রেখে ফোকাস বাড়াচ্ছে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তপশিলী জাতি ও উপজাতি নেতাদের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব খুব শিগগিরিই বসতে চলেছে বৈঠকে। এছাড়াও গত সপ্তাহে চিন্তন বৈঠক সম্পন্ন করেছেন অমিত শাহ। শোনা যাচ্ছে খুব শিগগিরিই এসসি ও এসটি-ভূক্ত নাগরিকদের জন্য সরকারের প্রস্তাবিত প্রকল্পও ত্বরান্বিত হতে পারে। গুজরাতের পরিসংখ্যানে ৭ শতাংশ জনজাতি তপশিলী জাতিভূক্ত, ১৫ শতাংশ তপশিলী উপজাতি ভূক্ত, আর ৪০ শতাংশ ওবিসি। ২০১৭ সালে ১৮২ আসনে বিজেপি জিতেছিল ৯৯ জি আসন। আর সেই নিরিখেই বিজেপি এবার দলিত ভোটব্যাঙ্কে ফোকাস বাড়াচ্ছে। রাজস্থানের ভোট পাখির চোখ! মরুরাজ্যে কোমর কষছে বিজেপি, নাড্ডা দিলেন কোন বার্তা?
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের নিরিখে এক দলীয় নেতা বলছেন,'বিএসপির যা ভোটব্যাঙ্ক ছিল তার ১৫ শতাংশ শুধু পেয়েছে বিজেপি। বাকি ৩৫ শতাংশ সমাজবাদী পার্টির ঘরে গিয়েছে, আর ৫০ বিএসপি নিজেই ধরে রেখেছে।' ফলে উত্তরপ্রদেশ ভোট-ঘরানা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি এবার নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গুজরাতের লড়াইয়ের জন্য। সেকারণে বিপিএলএর নিচে থাকা মানুষদের ঘিরে একাধিক প্রকল্পে ফোকাস বাড়াচ্ছে দল। উল্লেখ্য, নিম্নবর্ণের ভোটব্যাঙ্ক গুজরাতেরই শুধু নয় রাজস্থানের ক্ষেত্রেও খুবই বড় ফ্যাক্টর। সেকারণে জাতপাত ভিত্তিক ছুৎমার্গকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচারে আরএসএস এর শাখা 'সামাজিক সমরাস্তা'কে ময়দানে নামানো হয়েছে। বিজেপি নেতারাই সেখানে বলছেন, বিএসপি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। আর তার ভোটব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিতে সব দলই সচেষ্ট। সেখানে বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই ৮ ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক করেছেন। আর এসসি ভোটকে নজরে রেখে আপাতত স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছে বিজেপি।