বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে সর্বজনীন পুজো উদযাপন কমিটির পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বললেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। সংগঠনের নেতা আমির শফিকুর রহমান বলেন, তাঁরা যেন সাহস করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলেন। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, খুব পরিষ্কার করে বলছি, বাংলাদেশের কোনও জায়গায় জামায়াতে ইসলামি বা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যারা কাজ করে, যদি কোথাও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কোনও অপকর্ম করছে তাহলে সে একজন দুর্বৃত্ত। কথা দিচ্ছি আমরা কোনও দুর্বৃত্তকে তো প্রশয় দেবই না। এই অপকর্মের জন্য আমরা তার পাওনা বুঝিয়ে দেব। খবর প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে।
এদিক সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনের নানা ছবি ঘুরছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মন্দিরের সামনে পাহারা দিচ্ছেন অনেকে। কেউ যাতে আক্রমণ না করে সেকারণে এই পাহারা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এদিকে এদিন পুজো উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার রায়, বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার রায়, সহ অনেকেই হাজির ছিলেন।
এদিন জামায়তে নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জয়ন্ত কুমার রায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, যখন সরকার পরিবর্তন হয় কেন আমাদের উপর অত্যাচার হয়? তিনি বলেন, এই ছাত্র জনতার মধ্যে কি আমাদের হিন্দু ভাই বোনেরা মরে নাই? আমাদের কি কোনও অবদান নেই? তাহলে মন্দির পোড়ে কেন? আমার ব্যবসা লুঠপাট হয় কেন? আমার মা বোনের ইজ্জত যায় কেন? আপনারা বলেন দুর্বৃত্ত, কিন্তু নামটা হয় আপনাদের। সবাই বলে জামায়াতে ইসলামীর কথা।
একথা শুনে জামায়াতের আমির বলেন, যত দোষ নন্দ ঘোষ।
জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, কী দোষ করেছি আমরা? মনের কথাটা বলতে পারি না। অনেক কথা আছে। শেষ কথা হল আমরাও মানুষ। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আপনি এসেছেন একটা বার্তা যাবে সারা বাংলাদেশে। বিশ্বে। আমরা সেই বার্তাটাই চাই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমরাও কিন্তু রাস্তায় নামব। কেন আমাদের উপর এত অত্যাচার?
তখন জামায়াতে নেতা বলেন, সবাই আমরা একসঙ্গে নামব।
জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, এই দেশ আমার আপনার সকলের…আপদে বিপদে আমরা সবাই পাশাপাশি থাকব।
জামায়াতে নেতা জানিয়েছেন, কিছু হলে নির্দিষ্টভাবে জানাবেন। তাকে আমরা কী করি সেটাও জানবেন।