হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং মেটার মধ্যে ডেটা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটার উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। গত নভেম্বরে মেটার উপরে সেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল 'কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া' (সিসিআই)। আর বৃহস্পতিবার সেই নিষেধাজ্ঞার উপরে স্থগিতাদেশ দিল 'ন্যাশনাল কোম্পানি ল' অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল' (এনসিএলএটি)। অর্থাৎ আপাতত হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং মেটা একে অপরের সঙ্গে ডেটা আদানপ্রদান করতে পারবে। আর তার ফলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে মাক জুকারবার্গদের সংস্থা। স্বাগত জানিয়েছে ট্রাইবুনালের রায়কে।
মেটাকে জরিমানা করেছিল কমিশন
সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোরই কথা মেটার। কারণ ২০২১ সালের হোয়্যাটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য গত বছরের ১৮ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটাকে ২১৩.১৪ কোটি টাকার জরিমানা করেছিল কমিশন। ১৫৬ পৃষ্ঠার রায়ে কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল যে মেটা এবং হোয়্যাটসঅ্যাপকে প্রতিযোগিতা-বিরোধী কাজকর্ম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিযোগিতা-বিরোধী বিষয়গুলির সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মেটা এবং হোয়্যাটসঅ্যাপকে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
মেটাকে কড়া বার্তা দিয়েছিল কমিশন
সেইসঙ্গে কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, হোয়্যাটসঅ্যাপের পরিষেবা প্রদান ছাড়া কোনও অন্য কারণে মেসেজিং অ্যাপ থেকে সংগৃহীত ডেটা বা তথ্য মেটার অন্য কোনও সংস্থা বা মেটার সঙ্গে আদানপ্রদান করা যাবে না। ভারতীয় গ্রাহকরা যখন হোয়্যাটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন, তখন সেই কাজটা (যে যে কাজের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে) করার জন্য কোনও শর্তও চাপাতে পারবে না মেটা।
কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে বিজ্ঞাপনের কারণে হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে যে তথ্য হাতে আসবে, তা মেটা বা মেটার কোনও কোম্পানির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যাবে। পাঁচ বছরের জন্য হোয়্যাটসঅ্যাপ সেই কাজটা করতে পারবে না বলে কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল।
ট্রাইবুনালের রায়ে স্বস্তি মেটার
যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিল মেটা এবং হোয়্যাটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। আর তাতে বৃহস্পতিবার সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ। ট্রাইবুনালের সেই রায়ের পরে জুকারবার্গদের সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। মেটা প্ল্যাটফর্মের উপরে নির্ভরশীল লাখ-লাখ ব্যবসা কীভাবে উন্নতি লাভ করতে পারে, সেটার উপায় খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন মেটার এক মুখপাত্র।
যে সংস্থা কমিশনের সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করেছিল। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার তরফে বলা হয়েছিল, যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটার যে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা বোঝার মতো ক্ষমতা কমিশনের নেই।