বিশ্বজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রয়েছে। এর মাঝেই পবিত্র রমজান মাসের সূচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনান্য উত্সবের মতো করোনার জেরে রমজান পালনেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও সর্তকতার মধ্যেই চলছে শেষপর্বের প্রস্তুতি।
ইসলাম ক্যালেন্ডার হল চন্দ্র বর্ষপঞ্জী। তাই প্রতি বছর রমজান শুরু এবং শেষের তারিখ বদলে যায়। তাই প্রতি বছর বদলে যায় ইদের তারিখ। ইসলামিক চন্দ্র বর্ষপঞ্জীর নয় নম্বর মাস হচ্ছে রমজান। ১২ মাস থাকলেও এই ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিন রয়েছে। তাই প্রতি বছর রমজান মাস গ্রেগরীয়ন ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১১ দিন এগিয়ে আসে। চাঁদ দেখার উপরই রমজানের শুরু এবং শেষ নির্ভরশীল। চান্দ রাতের সঙ্গে শেষ হয় রমজান এবং ইদ-উল-ফিতর বা খুশির ইদ উদযাপিত হয় রমজানের পরের মাস শওয়ালের এক তারিখে।
কবে শুরু রমজান?
বৃহস্পতিবার,২৩ এপ্রিল সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে অনুযায়ী ওই দিন ভোররাতে সেহরি খেতে হতে হবে, এবং ২৪ এপ্রিল প্রথম রোজা পালন হবে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।এক দেশে চাঁদ দেখা দিলে তা সব দেশের চাঁদ বলে বিবেচিত হয় না। এটাই শরিয়তের সিদ্ধান্ত। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলিতে আগামী ২৪ এপ্রিলও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এদেশে ২০২০ সালের রোজা শুরু হবে ২৫ এপ্রিল থেকে। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার’-এর তরফে জানানো হয়েছে, রমজানের আগের মাস, ১৪৪১ সালের ‘শাবান মাস’ শুরু হয়েছিল ২৬ মার্চ। অর্থাৎ ২২ এপ্রিল সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখা যাবে না। পরের দিন, ২৩ এপ্রিল রমজানের চাঁদ দেখা যাবে। হাদিসে আছে, ‘শাবানের ২৯ দিন পূর্ণ করার পর তোমরা যদি রমজানের চাঁদ না দেখ তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে'। সুতরাং চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করবে রমজানের সূচনা।
করোনার প্রভাব-
এই বছর করোনাভাইরাসের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। সমাজিক দূরত্ব পালনের রীতি বজায় রাখার জন্য ভারতে রমজানের চেনা ছবি দেখা যাবে না এই বছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের মুসলীম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই পবিত্র মাস পালনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। 'Covid-19-এর কথা মাথায় রেখে সুরক্ষিত রমজান নির্দেশিকা' ইতিমধ্যেই সামনে এনেছে WHO। ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশে মসজিদ সহ সকল ধর্মীয় জায়গাগুলি ইতিমধ্যেই বন্ধ রয়েছে। ভারতেও প্রসাশনের তরফে সকলকে বাড়িতেই এই পবিত্র মাস পালনের আর্জি জানানো হয়েছে, বন্ধ থাকছে ইফতার পার্টিও। কলকাতাতেও রেড রোডে হবে না ইদের জমায়েত। জানিয়েছেন রেড রোডে ঈদের নমাজে নেতৃত্ব দেওয়া কুয়ারি ফজলুর রহমান।