‘গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্র’ নিয়ে রিপোর্ট আদতে ‘ভণ্ডামি’। নরেন্দ্র মোদী জমানায় ভারতকে 'নির্বাচনী স্বৈরাচার' হিসেবে যে রিপোর্টে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে এমনই চাঁচাছোলা মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর দাবি, ‘স্বঘোষিত রক্ষাকর্তা’-রা যেভাবে চাইছেন, সেই পথে ভারত না হাঁটায় নিজেদের মতো নিয়ম বানিয়ে তা সারা বিশ্বের মত হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছে।
ইন্ডিয়া টুডে'র কনক্লেভে জয়শংকর বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্রের মতো শব্দ ব্যবহার করছেন, আপনি সত্যি উত্তরটা চান? এটা আসলে ভণ্ডামি। কারণ ওদের হাতে বিশ্বের কয়েকজন স্বঘোষিত রক্ষাকর্তা আছেন। যাঁরা এটা হজম করতে পারছেন না যে ভারতের কেউ তাঁদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছেন না, ভারত সেই খেলায় সামিল না হওয়ায়, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ম তৈরি করেন, নিজেদের মানদণ্ড খাড়া করেন এবং নিজেদের রায় দেন। সেই রায় এমনভাবে তুলে ধরেন তা যেন সারা বিশ্বের মত।'
সম্প্রতি সুইডেনের ভি-ডেম (ভ্যারিটিস অফ ডেমোক্রেসি) ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্রের অবক্ষয় হয়েছে। তারই রেশ ধরে ভারতের ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র’-এর তকমাও কেড়ে নেওয়া হয়। যদিও সেই তকমা কেড়ে নেওয়া বা রিপোর্টে পাত্তা দিতে একেবারেই রাজি নন বিদেশমন্ত্রী। রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভাষায় তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় দেখি বলা হয় যে বিজেপি হল হিন্দু রাষ্ট্রবাদীদের সরকার, হিন্দু রাষ্ট্রবাদীদের দল। তাহলে জাতীয়তাবাদী নিয়ে কথা বলি। আমরা জাতীয়তাবাদী দেশ, আমরা ৭৫ টি দেশকে (করোনাভাইরাসের) টিকা দিয়েছি। আন্তর্জাতিকতাবাদের বুলি আওড়ানো দেশগুলি কতগুলি দেশকে টিকা দিয়েছে? এই দেশগুলির মধ্যে কারা বলেছে যে নিজেদের জনগণকে টিকা পাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের যে মানুষদের টিকা লাগবে, তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে? সেই বিষয়টি এলে এই লোকগুলো কোথায় যান? আমাদের তথাকথিত ভাবধারার বিষয়টি সত্যি হলে তো নাগরিকদের অধিকার সংকুচিত হত!'