সোমবার শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তিনি আপাতত ভারতেই আছেন বলে খবর।
কিন্তু এবার প্রশ্ন শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা সব গেলেন কোথায়?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জাতীয় সংসদের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ বঙ্গভবন থেকে একটা সামরিক হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। সেই সময় তাঁর বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন বলে খবর। তবে তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য ছিলেন না। এদিকে দেশ ছাড়ার আগে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বাংলাদেশের অপর একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গণ আন্দোলনের জেরে প্রথমে পদত্যাগ, তারপর দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রবেশ করে উল্লাসে মেতে ওঠে জনতা। এদিকে সূত্রের খবর, আওয়ামি লীগের একাধিক নেতা কার্যত গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকের ফোন সুইচড অফ। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এদিকে দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে আওয়ামি লীগের এক নেতা জানিয়েছেন, আপাতত এখন আপাতত এক জায়গায় আত্মগোপন করে আছি। এমন করে কদিন থাকতে পারব জানি না। এদিকে সেই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবনে ছিলেন আওয়ামি লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তেই তাঁর মোবাইল বন্ধ।
বেশিরভাগ নেতারই ফোন বন্ধ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিদেশমন্ত্রী হাসান মেহেমুদ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গির কবীর নানক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীরা রবিবারও দেশে ছিলেন। তবে তারপর থেকে তাঁদের ফোন বন্ধ। মনে করা হচ্ছে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। এদিকে আর টিভির প্রতিবেদন অনুসারে ছাত্রলীগের একাধিক পদাধিকারী দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে পুলিশের একাধিক কর্তাও তাঁদের বাংলো ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে খবর। সোমবার বিকালে লালমনিরহাটে এক আওয়ামি লীগের নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে গণভবনের গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন জনতা। তার নানা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ছে সমাজমাধ্যমে। তবে সেসব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির পরেই উত্তাল হয় বাংলাদেশ। পদত্যাগ করতে বাধ্য় হন শেখ হাসিনা।