স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি স্বামী যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতে পারে? দাম্পত্য বিবাদ সম্পর্ক মামলায় এনিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল গুজরাত হাইকোর্ট। বনাসকাঁটা জেলার এক মুসলিম দম্পতির দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি নির্মল মেহতার বেঞ্চ এব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা যায় না। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী পেশায় নার্স। ১৯৯৫ সালে বিয়ের পরে তাঁদের সন্তান হয়। কিন্তু পরে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এদিকে স্বামী তাঁকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু তাতে সায় নেই স্ত্রীর। এনিয়ে পারিবারিক আদালতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এদিকে স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী।
এদিকে এবার একটু এই প্রসঙ্গে আগের কিছু রায় দেখে নেওয়া যাক। ইউপিএ আমলে বিচারপতি জেএস বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে সেই সুরাপিশের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রের তরফে যুক্তি ছিল এই আইন কার্যকর হলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তৈরি হতে পারে অস্থিরতা।
এদিকে এসবের মধ্যে গত অগস্ট মাসে কেরল হাইকোর্ট যুগান্তকারী রায়ে জানিয়েছিল বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে। আর এবার গুজরাত হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্ত্রী কখনই স্বামীর সম্পত্তি নন। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা যায় না।