মঙ্গলবার রাতে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ২১ দিন ঘরবন্দি থাকতে হবে দেশের সমস্ত নাগরিককে। ফলে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্তব্ধ থাকছে দেশ। কিন্তু কী কী পরিষেবা চালু থাকবে লকডাউন চলাকালীন। বিভ্রান্ত না হয়ে দেখে নিন গোটা তালিকা।
১. কেন্দ্রীয় সরকার
- প্রতিরক্ষা, CRPF, ট্রেজারি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও জ্বালানি। দুর্যোগ মোকাবিলা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর, পোস্ট অফিস, ন্যাশনাল ইনফমেটিকস সেন্টার, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম।
২. রাজ্য সরকার
- পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা, সংশোধনাগার।
- জেলা প্রশাসনিক দফতর ও ট্রেজারি।
- বিদ্যুৎ, জল ও জঞ্জাল অপসরণ।
- পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ও জলসরবরাহ বিভাগ।
৩. সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসা সামগ্রীর দোকান। চিকিৎসক ও চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত পরিবহনব্যবস্থা চালু থাকবে।
৪. রেশন দোকান, খাদ্যবস্তু, মুদি, ফল, সবজি, দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ, মাছ ও মাংস, পশুখাদ্যের দোকান খোলা থাকবে। দরকারে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে পারে জেলা প্রশাসন।
- সংবাদমাধ্যম খোলা থাকবে।
- ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, কেবল টিভি, তথ্য প্রযুক্তি শিল্প চালু থাকবে। তবে যথা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করতে হবে।
- অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী, যেমন খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অনলাইন ডেলিভারি চালু থাকবে।
- পেট্রল পাম্প, এলপিজি সহ জ্বালানির যাবতীয় ডিলারশিপ চালু থাকবে।
- সেবি অনুমোদিত আর্থিক সংস্থা চালু থাকবে।
- হিমঘর ও গুদাম চালু থাকবে।
- ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী প্রদানকারী সংস্থা চালু থাকবে।
৫. অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তৈরি হয় এমন কারখানা চালু থাকবে।
- বন্ধ করা সম্ভব নয় এমন শিল্প সরকারের বিশেষ অনুমতিতে খোলা রাখা যাবে।
৬. নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহন চালু থাকবে।
- পুলিশ ও সমস্ত জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।
৭. যে সমস্ত হোটেলে লকডাউনের ফলে আটকে পড়া মানুষজন রয়েছেন সেগুলি চালু থাকবে।
- কোয়ারেনটাইন কেন্দ্র চালু থাকবে।
৮. সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
৯. সমস্ত ধর্মস্থান বন্ধ।
১০. সমস্ত ধরণের সামাজিক ও বিনোদনমূলক (ক্রীড়া-সহ) অনুষ্ঠান বন্ধ।
১১. মৃতদেহ সৎকারের জন্য ২০ জনের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়া যাবে না।