ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবহার করেছিলেন। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীদের জিলিয়াডের রেমডেসিভির দিয়ে সুফল হচ্ছে এমন কোনও প্রমাণ পায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই এই ড্রাগ দিতে মানা করল হু। তারা বলল এতে মৃত্যুহার কমছে বা ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন কমছে, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
হু-এর প্যানেল জানিয়েছে যে এই ওষুধের জন্য যে খরচ হচ্ছে, সেটার কথা মাথায় রেখেই এটির উপকারিতা তারা মেপে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে যা ডেটা পাওয়া গিয়েছে সেটা থেকে এটা বলা যাবে না যে রেমডেসিভির কার্যকরী।
কয়েক মাস আগে কিছু ট্রায়ালে ইতিবাচক ফলাফলের পর বিশ্বজুড়ে কোভিডের ওষুধ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল রেমডেসিভির। কিন্তু হু-এর সলিডারিটি ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে যে কোনও প্রভাব নেই এটির হাসপাতালে থাকার মেয়াদ কমানো বা মৃত্যু রোখার ক্ষেত্রে। প্রায় ৫০টি দেশে কোভিড চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও দেওয়া হয়েছিল এই ওষুধ।
প্রস্তুতকারক সংস্থা জিলিয়াড জানিয়েছে যে তারা অত্যন্ত হতাশ হু-এর গাইডলাইনস দেখে। সারা বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা যখন এটিকে ব্যবহার করছেন তখন সেই প্রমাণ হু-অবহেলা করছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে জিলিয়াড।
প্রায় ৭০০০ লোকের ওপর হওয়া সমীক্ষা থেকে হু-অবশ্য নিশ্চিত যে এই ওষুধ কাজের নয়। এটিকে ইন্ট্রাভেনাস ভাবে দিতে হয় পাঁচ থেকে দশ দিন, খরচও অনেক, তাই এই ওষুধ না ব্যবহার করাই ভালো বলে মনে করে হু।
অন্যদিকে আইসিএমআর-এর তরফ থেকে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাদের মতে ডোনারের প্রচুর সংখ্যক কোভিড অ্যান্টিবডি না থাকলে এই থেরাপি আদৌ কার্যকরী হচ্ছে না। সব মিলিয়ে চিকিৎসকদের কাছে কোভিড রোগীদের ট্রিটমেন্ট করার বিকল্প কিছুটা হলেও কমে যাচ্ছে।