গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় তপ্ত হয় বাংলাদেশ। কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় বাংলাদেশ জুড়ে। কিন্তু কেন এভাবে হিংসা ছড়াল? আন্দোলনকারীদের কেউ কি মদত দিচ্ছিল?
এনিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না।
এদিকে এই হিংসার ঘটনায় পুলিশের কর্মী আধিকারিকেরও মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ওই পুলিশ কর্মী আধিকারিকদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে গিয়ে সেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি অচল অবস্থা তৈরির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি শক্তি, জঙ্গিরা একত্র হয়ে এই ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটিয়েছে। আমরা কোনও সময়ই দেখিনি থানা ভবন আক্রমণ করতে, কারাগার আক্রমণ করতে, এগুলো আমরা নতুন করে দেখলাম।
সেই সঙ্গেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশকে চিহ্নিত করে তাদের ধরার জন্য় মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে। সেকারণে নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকতে পারেনি। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াব না।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের উত্থান, বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ইতিমধ্য়েই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগামী দু চার দিনের মধ্যে সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেছেন তিনি।
তবে আশার কথা একটাই যে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ। কিছুটা হলেও হিংসার ঘটনা কমেছে বুধবার।
ইন্টারনেট পরিষেবা কিছুটা চালু হয়েছে। অফিস খুলতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। একাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি চার ঘণ্টা খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে। খুলেছে পোশাক কারখানা। ব্যাঙ্কগুলিকেও সামান্য সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ক্রমশই বিগড়ে যাচ্ছিল। আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে খবর মিলেছে।