'১৯৮৩ সালে থেকে এই জায়গাটি খুনোখুনির জন্য কুখ্যাত। না হলে মন্দিরের জমি কোনও সাধারণ মানুষ দখল করতে পারে না।' বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী
অসমের দরং জেলায় ঢলপুরের গরুখুঁটির চর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের গুলিতে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, এই উচ্ছেদ নিয়ে চার মাস ধরে আলোচনা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সব হবে বলেও চুক্তি হয়েছিল। এদিকে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এই দাবি তুলে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনের তরফে। তবে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘উচ্ছেদ জরুরী ছিল, যাতে ভূমিহীন মানুষ ২ একর করে জমি পান সেকারণেই এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। প্রায় ১০ হাজার মানুষ অসম পুলিশকে ঘিরে ধরেছিল। তারাই হিংসা ছড়ায়। তারপরই পুলিশ পদক্ষেপ নেয়।’
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন পুলিশ নিয়োজিত একজন ফটোগ্রাফারকে পড়ে যাওয়া এক ব্য়ক্তির শরীরের উপর উঠে নৃশংসভাবে নাচতে দেখা যায়। তবে অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর দাবি, ‘একটি ভিডিও দেখে রাজ্য সরকারকে বিচার করবেন না। সেই ১৯৮৩ সাল থেকে এই জায়গাটি খুনোখুনির জন্য কুখ্যাত। না হলে মন্দিরের জমি কোনও সাধারণ মানুষ দখল করতে পারে না। আমি সবদিকে জবরদখল দেখেছি। সকলের সম্মতিতেই উচ্ছেদ অভিযান হয়েছিল। কিন্তু হিংসায় প্ররোচনা দিল কে? ’
তবে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ জানিয়েছে, ডেপুটি কমিশনারের অফিসের যে ফটোগ্রাফারকে ভাইরাল ভিডিওতে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সিআইডির হেফাজতে আছে। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের ১১জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। কীভাবে ওই ক্যামেরাম্য়ান সিনে ঢুকে গেল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তও চেয়েছি। '