Jairam Ramesh: 'মণিশঙ্কর আইয়ার কে?', ‘চিনের আগ্রাসন’ মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিলেন জয়রাম রমেশ

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রমেশ বলেন, 'কে এই মণিশঙ্কর আইয়ার? তিনি কোনো কর্মকর্তা নন, তিনি প্রাক্তন এমপি ও প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি তার ব্যক্তিগত সামর্থ্যে যা খুশি তাই বলেন।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বুধবার চিন সম্পর্কে মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য থেকে তাঁর দলের দূরত্ব বজায় রেখেছেন। কংগ্রেস নেতার দাবি, যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর ‘ব্যক্তিগত ক্ষমতায়’ এই মন্তব্য করেছেন।

মণিশঙ্কর আইয়ার মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৬২ সালের অক্টোবরে চিনারা ভারত আক্রমণ করেছিল। এই মন্তব্যের পর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঢেউ উঠেছিল, যার ফলে কংগ্রেস আইয়ারের মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়।

জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, আইয়ার তাঁর মন্তব্যের জন্য অকপটে ক্ষমা চেয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রমেশ বলেন, 'কে এই মণিশঙ্কর আইয়ার? তিনি কোনো কর্মকর্তা নন, তিনি প্রাক্তন এমপি ও প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি তার ব্যক্তিগত সামর্থ্যে যা খুশি তাই বলেন।

তিনি বলেন, 'এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মিডিয়া, বিজেপির ট্রোল বাহিনী এবং সোশ্যাল মিডিয়া তা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। উনি কংগ্রেস দলে আছেন, কিন্তু সাংসদও নন, প্রাক্তন সাংসদ মাত্র।

সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও তিনি একহাত নেন। মোদীর 'ঈশ্বর প্রেরিত' মন্তব্য এবং 'গান্ধী' (১৯৮২) সিনেমা মুক্তির আগে কেউ মহাত্মা গান্ধীকে চিনত না বলে মন্তব্য করেছিলেন বলে দাবি করেন মোদী। তা নিয়েই একহাত নেন জয়রাম রমেশ।

প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের যেভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। তিনি মিথ্যার মহামারী ছড়াচ্ছেন... এখন মনে হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনে মানুষের মধ্যে লড়াই হয়, এখানে তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত বলে পরিচয় দিচ্ছেন... উনি কেমন মানুষ, ওঁকে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়?

‘আজ তিনি বলেছেন, ১৯৮২ সালের আগে মহাত্মা গান্ধীকে কেউ চিনতেন না। তাঁর দল যে পরিবেশ তৈরি করেছিল তা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার দিকে পরিচালিত করেছিল। আজ গডসের আরাধনা হয়। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও একই আদর্শের সঙ্গে যুক্ত।’

জয়রাম রমেশ আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে ভারতীয় ব্লক দেশে সরকার গঠন করবে।

তিনি বলেন, প্রথম দুটি দফার পরেই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ভারতীয় ব্লক পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। আগামী ৪ জুন বিদায় নেবেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। ইন্ডিয়া ব্লক সরকার গঠন করবে এবং পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল, ধৈর্যশীল ও দায়িত্বশীল সরকার পরিচালনা করবে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই এর ইনপুট সহ