কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ছাত্রী রঞ্জনি শ্রীনিবাসনের ভিসা সম্প্রতি বাতিল করেছে আমেরিকা। এই আবহে রঞ্জনি আমেরিকা ছেড়েছেন। কিন্তু কে এই রঞ্জনি? কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর পরিকল্পনায় ডক্টরেট করছিলেন রঞ্জনি। তিনি এফ-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্যে। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছে ডিএইচএস। শ্রীনিবাসনের অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ আকর্ষণীয়। (আরও পড়ুন: বিদেশের মাটি থেকে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে 'গোপন অভিসন্ধি' বাংলাদেশি দূতের?)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ঘৃণা করার অভিযোগে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল USA
রঞ্জনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে নগর পরিকল্পনায় এমফিল সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তিনি স্কুল অফ আর্কিটেকচারের স্নাতক। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ ডিজাইন কোর্সও করেছেন। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াগনর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি ভারতের প্রাক-নগরায়নের শহরগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করছিলেন। শ্রমিকদের রাজনৈতিক অর্থনীতির ওপর তাঁর বিশেষ নজর ছিল। এছাড়া বর্তমান সময়ের কর্মসংস্থানের অভাবের দিকেও নজর দিচ্ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: হোলিতে ছড়াল হিংসা, ছোড়া হল পাথর, বাইক-দোকানে আগুন, জখম বেশ কয়েকজন)
আরও পড়ুন: রাজ্য সভাপতি নিয়ে জল্পনার মাঝে ১৭ জেলার সভাপতি বদল BJP-র, পদ গেল একাধিক MLA-র
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট (ডিএইচএস) জানিয়েছে, রঞ্জনি শ্রীনিবাসন সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আমেরিকা ছেড়েছেন। শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্যালেস্তিনীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন করেন এবং সেই সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই নিয়ে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৫ মার্চ স্টেট ডিপার্টমেন্ট শ্রীনিবাসনের ভিসা বাতিল করে। ১১ মার্চ সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছেন। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ পেয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। এদিকে শ্রীনিবাসন যে সহিংসতার পক্ষে সওয়াল করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ তাদের কাছে আছে কি না, তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। (আরও পড়ুন: ইউনুস ও রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের ইফতারি পার্টিতে 'অব্যবস্থা'? মৃত ১ রোহিঙ্গা, জখম ২)
আরও পড়ুন: হোলির উপহার! রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বাড়ল
এই বিতর্কের মাঝে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, 'আমেরিকায় বসবাস ও পড়াশোনার ভিসা পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়। আপনি যখন সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কথা বলেন তখন সেই বিশেষাধিকার প্রত্যাহার করা উচিত এবং আপনার এই দেশে থাকা উচিত নয়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, যিনি সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তিনি সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত হয়েছেন দেখে আমি আনন্দিত।'