উত্তর প্রদেশে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভালে হিংসার ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তালিকায় উঠে আসছে দুবাইয়ের গ্যাংস্টার শারিক সাথার নাম। পুলিশ সন্দেহ করছে, 'পলাতক' গ্যাংস্টার শারিক ‘হিংসার আয়োজন’ করেছে, দেশের বাইরে বসেই। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা শারিক বর্তমানে আমিরশাহিতে থাকে। বিস্ফোরক তথ্যে দাবি করা হচ্ছে, শারিকের সঙ্গে ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' দাউদ ইব্রাহিম ও পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ রয়েছে।
কেন পুলিশের সন্দেহে দুবাইয়ের গ্যাংস্টার শারিক?
পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি বলছে, এক সন্দেহজনক টাকার লেনদেন সদ্য দেখা গিয়ে সম্ভাল ও বিদেশের কার্তুজ তৈরির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের মধ্যে। কিছুদিন আগেই সম্ভালে হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর প্রদেশের পুলিশে, সম্ভালের ঘটনার কেন্দ্রে থাকা মসজিদের কাছ থেকে পাকিস্তান ও অন্য দেশে তৈরি বুলেট উদ্ধার করে। তখন থেকেই পুলিশের সন্দেহ, এই হিংসার নেপথ্যে বিদেশি হাত থাকতে পারে। যদিও একটি সূত্র বলছে, এলাকায় তুরস্ক ও পাঠান মুসলিমদের সংঘাত ঘিরেও নজর ছিল তদন্তকারীদের।
শারিক-গ্যাং ও দাউদ যোগ ?
সম্ভালে ৫৪ টি কেস রয়েছে শারিকের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে এক মামলায় জামিন পেতেই সে ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে দুবাই চলে যায়। যে মামলায় শারিক জামিন পেয়েছিল, সেটি ছিল তার সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিম ও পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ সম্পর্কিত মামলা। শুধু সম্ভালে নয়। দিল্লিতেও কীর্তি রয়েছে শারিকের। দিল্লিতে এনসিআর থেকে ৩০০ গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে শারিকের বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের সম্ভালের পুলিশের এসপি কৃষ্ণকুমার বিষ্ণোই বলছেন,' শারিক সাথার নাম তদন্তে উঠে এসেছে। পাকিস্তানি ও বেশ কিছু সন্দেহজনক পিস্তল কার্তুজ কিছুদিন আগে উদ্ধার হয়েছে। সেটাই পয়েন্ট করছে শারিকের যোগের। হয়তো সে এগুলি তার শাগরেদদের দিয়েছে, আর তারাই এই অস্থিরতা তৈরি করেছে।' পুলিশের সাফ কথা, শারিককে দেশে ফেরাতে তারা তৎপর। উত্তর প্রদেশের পুলিশ বলছে,' আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছি ওকে দেশে ফেরাতে। তার অপরাধের নেটওয়ার্ক যাতে ছিন্নভিন্ন করা যায়।'