গ্রিক বর্ণমালা অনুযায়ী করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতির নামকরণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সেই নয়া পদ্ধতিতে ভারতে হদিশ পাওয়া বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টের নাম রাখা হয়েছে ‘ডেল্টা’। আর ভারতে খোঁজ পাওয়া অপর প্রজাতি বি.১.৬১৭.১-কে ‘কাপ্পা’ নামে ডাকা হবে।
এতদিন মূলত করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিগুলিকে বিজ্ঞানসম্মত নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হত। চলতি কথায় যে দেশে প্রথম সেই প্রজাতির হদিশ মিলেছে, সেই দেশের নামে ওই প্রজাতি পরিচিত ছিল। কিন্তু বি.১.৬১৭ প্রজাতিকে একটি মহলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ভারত সরকার। গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টকে 'ভারতীয়' হিসেবে চিহ্নিত করেনি হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও সাফ জানানো হয়েছিল, 'হু কোনও ভাইরাস বা ভ্যারিয়েন্টকে যে দেশ থেকে শুরু হয়েছে, সেই দেশের নাম দিয়ে চিহ্নিত করে না। আমরা বৈজ্ঞানিক নাম দিয়ে চিহ্নিত করি। সমতা বজায় রাখতে সবাইকে সেই পন্থা মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে।'
সেই মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহ পরেই বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনার যে প্রজাতিগুলির কারণে সবথেকে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেগুলিকে গ্রিক বর্ণমালার অক্ষর অনুযায়ী ডাকা হবে। তার ফলে সুষ্ঠু এবং সহজ ভারসাম্য বজায় থাকবে। যে নামগুলি সোজা হবে এবং সহজেই বলা যাবে। তবে প্রজাতিগুলির বৈজ্ঞানিক নাম মোটেও অবলুপ্ত করা হবে না। টেকনিকাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, 'সেই নাম বৈজ্ঞানিক নামের পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। যা গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয় এবং গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। তবে করোনা প্রজাতি চিহ্নিত করার জন্য কোনও দেশকে কলঙ্কিত করা উচিত নয়।'
সেইমতো গত বছর সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে হদিশ পাওয়া বি.১.১.৭ প্রজাতির নাম দেওযা হয়েছে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকার বি.১.৩৫১ প্রজাতিকে ডাকা হবে 'বিটা'। যা গত বছর মে'তে প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। আর গত নভেম্বরে প্রথম ব্রাজিল হদিশ মেলা পি.১ প্রজাতিকে 'গামা' হিসেবে পরিচিত হবে।