বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > WHO: কাশির সিরাপের জেরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারত-ইন্দোনেশিয়ার ওষুধ সংস্থা ঘিরে কোন যোগসূত্রের খোঁজে হু?

WHO: কাশির সিরাপের জেরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারত-ইন্দোনেশিয়ার ওষুধ সংস্থা ঘিরে কোন যোগসূত্রের খোঁজে হু?

কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক (Representative image) (HT_PRINT)

ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি হওয়া ওষুধ আর ভারতে তৈরি হওয়া কাশির সিরাপের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে হু। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, ‘অগ্রাহ্যকর পরিমাণ’ বিষক্রিয়ার দ্রব্য রয়েছে ওই উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে। আর সেই জন্যই ওই কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তের পথে আরও তথ্য চাইছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্বের ৩ টি দেশে ৩০০জন শিশুর মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছে কাশির ওষুধের নাম। আর সেই বিষয়ে তদন্তে নেমে এক চাঞ্চল্যকর মোড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। তারা তদন্তে নেমে জানতে চাইছে এই কাশির ওষুধ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ভারতে নির্মিত কাশির ওষুধ সংস্থার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সংস্থার কোনও যোগ রয়েছে কি না। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে একথা জানা গিয়েছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি হওয়া ওষুধ আর ভারতে তৈরি হওয়া কাশির সিরাপের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে হু। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, ‘অগ্রাহ্যকর পরিমাণ’ বিষক্রিয়ার দ্রব্য রয়েছে ওই উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে। আর সেই জন্যই ওই কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তের পথে আরও তথ্য চাইছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। হু জানতে চায়, কোনও বিশেষ কাঁচামাল ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে তৈরি ওই কাশির সিরাপগুলিতে রয়েছে কি না। ওই বিশেষ কাঁচামাল কোনও একই সরবরাহকারীর থেকে নেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে চাইছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু। যদিও হু এখনও পর্যন্ত কোনও সরবরাহকারীর নাম নেয়নি। প্রশ্ন উঠছে, এমন এক পরিস্থিতিতে ওষুধ ঘিরে কোন বিশেষ তথ্য জানতে চাইছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু? তাহলে কি কোনও বিশেষ কাঁচামালের জন্যই এই ঘটনা ঘটে যেতে পারে? এই সমস্ত তথ্যের হদিশের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এছাড়াও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, অভিভাবকরা যাঁরা শিশুদের কাশির সিরাপ কিনছেন বা চিকিৎসকরা যাঁরা তার পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁরা যেন সিরাপের নিরাপত্তার দিকটি যাচাই না করে সিরাপ না কেনেন। কাশির সিরাপ কখন একজন শিশুর দেহে প্রয়োজন, তা জানতে বিশেষ তদন্তে কিছু প্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টায় রয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য হু।

২০২২ সালের জুলাই মাসে গামিবিয়ায় কাশির ওষুধ খেয়ে বহু শিশুর মৃত্যু হয়। দেখা যায় কিডনিতে আঘাত লেগে, এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ও উজবেকিস্তানেও কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এই কাশির সিরাপ ঘিরে মূল খোঁজ ইথিলিন গ্লাইকোল ও ডাইথিলিন গ্লাইকোল ঘিরে। আপাতত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এই ইস্যুতে কোন পথে হাঁটে সেদিকে নজর রয়েছে ভারতেরও।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন