করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎসস্থলের সন্ধানে উহানের অত্যাধুনিক ভাইরাস গবেষণাকেন্দ্রের পরীক্ষাগার ঘুরে দেখলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞ দল।
উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে বাদুড় বাহিত করোনাভাইরাস-সহ একাধিক বিপজ্জনক জীবাণু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
প্রচলিত একটি মত অনুযায়ী, উহানের বায়োসেফটি ল্যাবরেটরি থেকে দুর্ঘটনাবশত করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, যদিও এই তত্ত্ব বার বার অস্বীকার করেছে বেজিং। তবে এখনও পর্যন্ত গবেষণাগারের সঙ্গে সংক্রমণের সম্পর্ক বা কোনও পশুর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
উহানে গবেষণাকেন্দ্রের প্রবেশের মুখে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তথা ইকো হেল্থ অ্যালায়েন্স-এর সভাপতি পিটার ড্যাসজ্যাক সংবাদসংস্থা রয়টার্স-কে বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ফলদায়ী একটি দিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এখানে উপস্থিত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথোপকথন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে আশা রাখছি।’
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট অনুসারে, ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিনের অগ্রণী ভাইরোলজিস্ট শি ঝেংলি। বাদুড় নিয়ে নিরন্তর গবেষণার কারণে তাঁকে চিনের ‘বাদুড়-মানবী’ নামেই চেনে সে দেশের বিজ্ঞানী মহল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্যাঝ্যাক মঙ্গলবার পোস্ট করে জানান যে, ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে কথা হয়েছে হুবেই প্রদেশের প্রাণীসম্পদ নজরদারি দফতরের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের। এ ছাড়া, একটি পশু সংরক্ষাগারও ঘুরে দেখেন WHO বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার তাঁরা উহানের সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের বাজারে সমীক্ষা করেন। এই বাজার থেকেই ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম Covid-19 সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ওই দিন ২৫ জন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত একমাসে দৈনিক হিসেবে যা সবচেয়ে বেশি। চিনে বর্তমানে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯,৬১৯। মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৪,৬৩৬ জন।