রতন টাটা। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তাঁর বিপুল সম্পত্তির একটা বড় অংশ মানবকল্য়াণে দান করেছেন তিনি। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল তাঁর একটি রাইফেল, একটা শটগান ও অপর একটি রাইফেল সেটা দেওয়া হচ্ছে মেহলি মিস্ত্রিকে। তিনি হলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু। ব্যবসারও ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি।
এই অস্ত্রগুলি টাকা বিশেষ ব্যবহার করতেন না। তবে তিনি দেশের অন্য়তম পুরনো গান লাইসেন্সের অধিকারী ছিলেন। সম্ভবত এই অস্ত্রগুলি তিনি উপহার বা পুরস্কার হিসাবে পেয়েছিলেন। টাটা মোটরসের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুমন্ত মূলগাওকর একটি তাঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন বলে খবর। একটা সময় সুমন্ত শিকার করতে ভালোবাসতেন। তখনও বন্যপ্রাণী নিয়ে এত কড়াকড়ি আইন আসেনি। অপর দুটি বন্দুক তিনি উত্তরাধিকারী হিসাবে পেয়েছিলেন। একটি পেয়েছিলেন তাঁর বাবার কাছ থেকে অপরটি পেয়েছিলেন জেআরডি টাটার কাছ থেকে।
সূত্রের খবর, এই অস্ত্রগুলি তিনি টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি মেহিল মিস্ত্রিকে দিয়ে যাচ্ছেন বলে উইলে লিখে গিয়েছেন। এদিকে সূত্রের খবর, অস্ত্র উত্তরাধিকার সূত্রে বা উপহার হিসাবে হাতবদল হতে পারে। কিন্তু যাঁর কাছে থাকবে তাঁরও লাইসেন্স থাকা দরকার। তবে আপাতত সেই অস্ত্র পুলিশের কাছে রাখা রয়েছে।
এদিকে মিস্ত্রিকে আপাতত লাইসেন্স বের করতে হবে। সেখানে তাঁকে জানাতে হবে কোন ক্ষেত্রে তিনি এই বন্দুক ব্যবহার করতে চান। মূলত আত্মরক্ষা, স্পোর্টিং সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ও অর্নামেন্টাল ক্ষেত্রে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে তিনি সাজিয়ে রাখার জন্য়ই এটা রাখবেন। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ এই বন্দুকগুলির ফায়ার পিন খুলে রাখবে। যার জেরে কাউকেই আর কখনও গুলি করা যাবে না। মূলত সাজানোর উপকরণ হিসাবে এগুলি ব্যবহার করা যাবে।
পি পালোনজি গ্রুপে ছিলেন মিস্ত্রি। তিনি একটা সময় তাঁর ভাই ফিরোজের সঙ্গে একযোগে কোম্পানি চালাতেন। তারপর টাটার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ স্থাপিত হয়। মূলত টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রির মধ্য়ে যখন আইনি ঝামেলা চলছিল তখন রতন টাটাকে নানাভাবে সহায়তা করতেন মেহলি মিস্ত্রি। এদিকে সেই মেহলি মিস্ত্রির বিরুদ্ধে একটা সময় অভিযোগ তুলেছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে রতন টাটা পালোনজি গ্রুপকে বেশি অগ্রাধিকার দেন কারণ মেহলি মিস্ত্রির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো। সেকারণে তাঁকে একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়।