বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > এপ্রিলে পাইকারি বাজারে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, মধ্যবিত্তকে কোপ মারছে জ্বালানির দাম

একে করোনা পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা তো আছেই। তার উপর কাজকর্ম, ব্যবসায় মন্দা। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা মুদ্রাস্ফীতি। এই করোনা দ্বিতীয় ওয়েভের মাঝেই এপ্রিলে পাইকারী বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ১০.৪৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভারতে রেকর্ড হারে মুদ্রাস্ফীতি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৩৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এক ধাক্কায় এক মাসে বেড়ে গিয়েছে জিনিসপত্রের পাইকারি দাম। কেন এমনটা হল? এর ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা। মূলত পেট্রোলিয়ামের মূল্যবৃদ্ধিই এর কারণ। আন্তর্জাতিক বাজারে এই সময় বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ফলে ভারতেও দাম বেড়েছে পেট্রল, ডিজেলের। পেট্রল-ডিজেলের দামের উপরেই যে কোনও দ্রব্যের পরিবহণের খরচ সরাসরি নির্ভরশীল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বেশিরভাগ দ্রব্যাদির।

মুদ্রাস্ফীতি কী?

মুদ্রাস্ফীতি হল উপলব্ধ অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি। সহজ ভাষায় বললে মুদ্রাস্ফীতি হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থে আপনি আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক কম জিনিস ক্রয় করতে পারেন। অর্থাত্ যদি আগে ৩০ টাকায় এক কিলো আলু কিনতে পারতেন, বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি হলে ৩০ টাকায় এক কিলোর কম আলু কিনতে পারবেন।

বন্ধ করুন