করোনা ঠেকাতে দুটি ভিন্ন টিকার ডোজ কার্যকারী বলে অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায়। এরপরই এই 'ককটেল' টিকাকরণের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। তবে এই মিশ্র টিকাকরণের বিপক্ষে মত দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন দাবি করেছেন যে মিশ্র টিকাকরণের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা নেই। এই ধরনের পৃথক টিকা প্রয়োগের কারণে শরীরে কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে কোনও তথ্য নেই। বরং এই ধরনের টিকাকরণ ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করে দিলেন ডঃ স্বামীনাথন।
সৌম্যা স্বামীনাথন এই বিষয়ে বলেন, 'বহু মানুষ দুটি পৃথক টিকার ডোজ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এ বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানতে চেয়েছেন, প্রথম টিকা একটি সংস্থার নিয়ে, পরবর্তী টিকার ডোজটি অন্য সংস্থার নিতে পারেন কি না। আমি এই প্রেক্ষিতে জানাতে চাই যে মিশ্র টিকাকরণ নিয়ে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আসেনি। আপাতত আমাদের ধারণা, এই প্রবণতা বিপদ ডেকে আনতে পারে।'
ইউরোপের একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই দু’বার দু’রকমের টিকা নেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেল নিজে দুই বার দুটি পৃথক টিকা নিয়ে দেশবাসীকে এই ধরনের টিকাকরণে উত্সাহ দিয়েছেন। এমনকি ভারতেও দুটি পৃথক টিকার ডোজ নেওয়ার পক্ষেই কথা বলেছেন দিল্লিতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুটি পৃথক টিকার দুটি ডোজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তিনি জানান, এই বিষয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা প্রয়োজন।