কেন কাজ করছে না Aarogya Setu অ্যাপ?
করোনার প্রথম ওয়েভের সময়ে অনেকেই ডাউনলোড করেছিলেন Aarogya Setu অ্যাপ। এমনকি এই অ্যাপ ফোনে না থাকলে অফিসে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু, দ্বিতীয় ওয়েভে যেন আরোগ্য সেতু অ্যাপের নাম সেভাবে শোনাই যাচ্ছে না। এর কারণ কী?
আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মূলত ট্রেসিং করা হত। ব্যবহারকারীর আশেপাশের মধ্যে কত জন করোনা আক্রান্ত, তিনি কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন কিনা- এসবের ভিত্তিতে তাঁর সংক্রমণের ঝুঁকি জানিয়ে দিত এই অ্যাপ।
শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারী কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে, করোনার সিম্পটম থাকলে সরাসরি জানাতে পারতেন এই অ্যাপে। সেই থেকেই টেস্ট-এর ব্যবস্থা করা যেত।
গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫.৭ কোটি ব্যবহারকারী ছিল আরোগ্য সেতু অ্যাপের। সরকারি আধিকারিকদের মতে, সংখ্যাটা এখন আরও বেশি।
তবে, বর্তমানে আরোগ্য সেতুর এই ফিচারগুলি যেন অনেকটাই ব্যাকফুটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, 'আরোগ্য সেতু এখন মূলত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। CoWIN অ্যাপের সঙ্গে এটি লিঙ্ক করা রয়েছে।'
কিন্তু হটস্পট আইডেন্টিফাই করার যে ফিচার ছিল, সেটির কী হল? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আগের মতো নিয়মিত আক্রান্তের মোবাইল নম্বর আপডেট করছে না করোনা টেস্টিং সেন্টারগুলি। ফলে কোথায় কোনও ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হচ্ছেন, তার আপডেট হচ্ছে না সময় মতো।
তবে, এখনও থ্রেট লেভেল- অর্থাত্ সংক্রমণের ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে ব্যবহারকারীদের সতর্কতার কাজ চলছে আরোগ্য সেতু অ্যাপে।
আরোগ্য সেতুর বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক জানালেন, 'আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে কেন নতুন হটস্পটগুলি ট্র্যাক করা হচ্ছে না? আমাদের হাতে প্রযুক্তি রয়েছে, কিন্তু সরকার যেন এ বিষয়ে গা ছেড়ে দিয়েছে।'
আগের বছরে কনট্র্যাক্ট ট্রেসিংয়ে বেশ জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে এত দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে যে, সেই পদ্ধতি অনেকটাই ব্যাকফুটে। আর সেই কনট্র্যাক্ট ট্রেসিংয়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত আরোগ্য সেতু।
গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি জানালেন, 'অ্যাপটির মূল ভিত্তি হল স্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বাস্থ্য পরিষেবাকে যদি সরকার সময় মতো আপডেট দিতে বাধ্য না করে, তবে অ্যাপটি অকেজো হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।'