সম্প্রতি আইএএস দম্পতির মধ্যে একজনকে অসভ্য আচরণের জন্য অরুণাচল প্রদেশে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের অফিসারকে কেন অরুণাচলেই বদলি করা হল। এটা কী অরুণাচল প্রদেশের জন্য লজ্জার নয়? টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর মতে, উত্তর পূর্বের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মুখেই শুধু বড় বড় কথা বলে। কাজের কাজ কিছু করে না।
সম্প্রতি দিল্লি সরকারের অধীনে কর্মরত থাকা দুই আইএএস অফিসারের একজনকে লাদাখে ও অন্য একজনকে অরুণাচল প্রদেশে বদলি করা হয়েছে। আইএএস অফিসার সঞ্জীব কিরওয়ারকে বদলি করা হয়েছে লাদাখে ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু দুগ্গাকে বদলি করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশে। কী কারণে বদলি? জানা গিয়েছে, এই দুই আইএএস কুকুরকে নিয়ে হাঁটবেন বলে ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম বন্ধ করে রেখেছিল। বন্ধ করে রাখার জন্য অ্যাথিলেটরা ঠিকমতো প্র্যাকটিস করতে পারছিল না। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে দিল্লি আম আদমি পার্টির সরকার। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, রাত ১০টা পর্যন্ত স্টেডিয়ামের দরজা খোলা থাকবে যাতে খেলোয়াড়রা সবরকমের প্র্যাকটিস করতে পারেন। এরপরই ওই আইএএস অফিসারের বদলির নির্দেশ আসে।
বদলির পিছনে এই কারণ থাকলেও প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তুলেছেন, কেন অরুণাচল প্রদেশে বদলি করা হল এই রকম একজন অসভ্য অফিসারকে। অরুণাচল প্রদেশকে কী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এমন জায়গা হিসাবে দেখে যেখানে এই সব অসভ্য অফিসারদের বদলি করা যায়। টুইটে তৃণমূল সাংসদ অরুণাচল প্রদেশ থেকে আগত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু ও অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুকে এই বিষয়ে প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন জানান। শুধু মহুয়া মৈত্রও নয়, একই সুর শোনা গিয়েছে জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মুখে। যেহেতু আরও একজন আইএএস অফিসারকে লাদাখে বদলি করা হয়েছে, তাই সেই প্রসঙ্গ তুলে ওমর আবদুল্লা জানান, ‘লাদাখে বদলি করাটা কী পানিসমেন্ট পোস্টিং–এর মধ্যে পড়ে। কারওর কাছে তো লাদাখ খুবই সুন্দর জায়গা। কিন্তু সেই জায়গায় বদলি করানোটাকে যদি শাস্তিসূচক বদলি হিসাবে দেখা হয়, তাহলে তা সেখানকার লোককে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়।’