নভজ্যোত সিং সিধু গতকাল আচমকাই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন। এই মর্মে একটি চিঠি তিনি দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে পাঠান। তবে সেই চিঠি গ্রহণ করা হয়নি কংগ্রেসের তরফে। এই পরিস্থিতিত পঞ্জাবের স্থানীয় নেতাদের সিধুকে বোধানোর জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
এদিকে দলীয় নেতাদের অনেকের মত, সিধুর সব দাবি মানা উচিত নয় হাইকমান্ডের। উল্লেখ্য, দলের অন্দরের খবর, জাঠ নেতা সুখজিন্দর রান্ধাওয়াকে পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ মেনে নিতে পারেননি সিধু। তাছাড়া দলের অন্দরে চরণজিৎ সিং চান্নির উত্থানও মানতে পারেননি সিধু। কারণ দলের অন্দরে রান্ধাওয়া বা চান্নি ২০২২ সালে সিধুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। তাছাড়া মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে সিধুর মত নেওয়া হয়নি। ক্যাবিনেটে অমরিন্দর সিং ঘনিষ্ঠ বহু নেতা থাকায় ক্ষুণ্ণ হন সিধু। পাশাপাশি কপুরথালার বিধায়ক রানা গুরজিত সিংকে মন্ত্রী করার বিষয়টিও মানতে পারেননি সিধু।
এই পরিস্থিতিতে সিধুর ক্ষুণ্ণ হওয়ার তালিকা বুঝে পঞ্জাবের নেতাদেরকেই তাঁকে বোঝআনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিধুর সঙ্গে এখনই কথা বলবে না হাইকমান্ড। প্রয়োজনে পরে ফের গান্ধীরা সিধুর সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতার কথায়, সিধুর সিদ্ধান্ত প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। তাঁরা সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করেছেন মাত্র দু’মাস হল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সিধুকে এখনও বোঝানোর চেষ্টা চলছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছিল। সেই হিসেবে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি পদ ছেড়ে দিলেন। স্বাভাবিক ভাবে এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। এদিকে সভাপতি হওয়ার পরও চাপে ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তারই ফল এদিনের ইস্তফা বলে মনে করছেন অনেকে।