দিল্লিতে হিংসার ঘটনার খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বহু সাংবাদিক। অনেক স্থানে তাদের নিজেদের ধর্ম প্রমাণ করতে বলল দাঙ্গাবাজরা। এ পর্যন্ত ২২ জন মারা গিয়েছেন সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের মধ্যে হওয়া হিংসায়। মঙ্গলবার খবর করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিক। অন্যদের হুমকি শুনতে হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের দুই সাংবাদিক সৌম্য পিল্লাই ও ফারিহা ইফতিকার ভজনপুরায় গিয়েছিলেন খবর সংগ্রহ করতে। সেখানে তাদের পিছু নেয় দুই বাইক। পিল্লাই বলেন যে প্রথমে অনেক লোক তাদের গাড়ি ঘিরে ফেলেছিল। কোনও ক্রমে সেখান থেকে বেরোলেও বাইকধারীরা পিছু নেয়। জোরে গাড়ি চালিয়ে ওই অঞ্চল থেকে বেরোতে সক্ষম হন তাঁ
প্রায় সব সাংবাদিককেই দাঙ্গাবাজরা হুঁশিয়ারি দেন যে ঘুণাক্ষরেও যেন মোবাইল ফোন ও নোটবুক বের না হয়। অনেককে নিজের ধর্মীয় পরিচয় দিতে বলে দুস্কৃতীরা। হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক অন্ভিত শ্রীবাস্তবকে কারওয়াল নগরের কাছে আটকায় জনতা। বলে যে তুমি হিন্দু, তার প্রমাণ দাও। অন্ভিত নিজের আইডি কার্ড দেখায়। তাতে চিঁড়ে ভেজে নি। কোনও তিলক, লকেট বা মালা ইত্যাদির খোঁজে ছিল এরা। কিছুই দেখাতে পারেনি অন্ভিত। তখন ভিঁড়ের মধ্যে থেকে একজন প্রশ্ন করে, মাথায় তিলক কাটিস না কেন? অন্ভিত জানিয়েছে যে কিছুতেই তাঁকে ছাড়ছিল না দাঙ্গাবাজরা। পরে আই কার্ডের বরাতে কপালজোরে রক্ষা পায় সে।
প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই হাতে লাঠি ও রড নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। মুখে ফেট্টি বেঁধে নিয়েছিল তারা, যাতে কেউ পরিচয় না জানতে পারে। এনডিটিভি-র দুই সাংবাদিককে ধরে উত্তম মাধ্যম মারা হয়েছে মঙ্গলবার।
আকাশ নামের এক সাংবাদিকের ছবি ভাইরাল হয়েছিল যে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষে সেই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সাংবাদিকদের ওপরে হওয়া এই অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করেছে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।
রা
ও