কর্ণাটক ও উত্তরাখণ্ডের পর এবার তৃতীয় রাজ্য গুজরাত। যেখানে কার্যত সরে যেতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। শনিবার আচমকাই পদত্য়াগ পত্র জমা দিয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। এদিকে উত্তরাখণ্ড ও গুজরাত দুই রাজ্যেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, কোভিড পরিস্থিতি ও জাতিগত কারণেই কার্যত সরে যেতে হল গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রীকে। বিজেপি সূত্রে খবর, এবার কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য়মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এনিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর সঙ্গেই পাতিদারদের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছিল গেরুয়া ব্রিগেড। এর জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কার্যত সরে যেতে বাধ্য হলেন ৬৫ বছর বয়সী রুপানি। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
দলের একাংশের মতে, মূলত ভোটের আগে জনগণের আস্থা ফেরাতে রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন মুখ আনতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তার জেরেই কার্যত সরে যেতে হল রুপানিকে। তবে দিল্লির এক বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রুপানি কাজ করতে পারছিলেন না এমনটা নয়। বিজেপি সবসময় নেতৃত্বের পরিবর্তনে বিশ্বাস করে। নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। নতুন মুখ নতুন উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব নেবেন। তবে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মতে, ঝিমিয়ে যাওয়া নেতা যাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাসে চিড় খেয়েছে তাদের নিয়ে ভোটে নামতে চাইছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেকারণেই এই রদবদলের উদ্যোগ। অপর এক নেতৃত্বের দাবি, মোদীর দেখানো রাস্তাতেই হাঁটছিলেন রুপানি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিটা সব কিছু ওলটপালট করে দিল।