রাজনাথ সিং যখন লোকসভায় চিন নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। রাহুল থেকে অধীর, প্রত্যেকেই এদিন চিন ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করেছেন।
এদিন রাহুল বলেন যে চিনের বিরুদ্ধে কবে কড়া পদক্ষেপ নেবেন মোদী। কবে দখল হওয়া জমি ফেরত নেবে দেশ, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চিনের নাম না নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তারা অবস্থান করেন। কেন তাঁদের প্রশ্ন করতে দেওয়া হল না এই বিষয়ে, সেই নিয়ে প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন যে রাজনাথের বিবৃতির সময় মোদীর অনুপস্থিতি এটাই বোঝাচ্ছে যে এই বিষয়ে আলোচনা এড়াতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি বলেন যে মন্ত্রীরা ভয় পাচ্ছেন কারণ চিন দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর সরকারের কাছে নেই।
একই সঙ্গে তিনি বলেন ১৯৬২ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন আলোচনা চেয়েছিলেন নেহেরু রাজি হয়েছিলেন ও দুই দিন ধরে বিতর্ক হয় সংসদে।
কংগ্রেসের উপ নেতা গৌরব গোগোই বলেন যে তাঁরা সেনাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছিলেন ও চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বলতে দেওয়া হল না।
অন্যদিকে শশী থারুর বলেন যে মোদী যেখানে বলেছিলেন ভারতের সীমানায় প্রবেশ করেনি চিন, সেই কথা কি এখনও সত্যি। না কি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বদলে দিয়েছে সরকার, তিনি প্রশ্ন করেন। কেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সীমান্তে স্ট্যাটাস ক্যু আন্তে ( আগে যেমন ছিল) ফেরানোর কথা বললেন না, সেই দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রকের উপমন্ত্রী।