কেন্দ্রীয় বাজেট কতটা ভালো, কতটা সাধারণ মানুষের আশা পূরণ করবে, কতটা সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে, দেশ কতটা এগোবে এনিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠছে। তবে এবারের বাজেট কেন ভালো তা নিয়ে ৯টা পয়েন্ট হাজির করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫ বিকশিত ভারতের জার্নির পথে একটা প্রচেষ্টা। এই টার্গেট পূরণ করার ক্ষেত্রে একটা উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৯টি ক্ষেত্রে ফোকাস করেছেন। এর জেরে প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে।
১) কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সহনশীলতা বৃ্দ্ধি।
২) কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধি
৩) মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়
৪) উৎপাদনশীলতা ও পরিষেবা
৫) শহরের উন্নয়ন
৬) এনার্জি সংক্রান্ত নিরাপত্তা
৭) পরিকাঠামো
৮) নতুন আবিষ্কার, গবেষণা ও উন্নয়ন
৯) আগামী প্রজন্মের সংস্কার।
সেই সঙ্গেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই বাজেট ভারতের যুবকদের শক্তিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে, নারী শক্তি ও কৃষকদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। একটা উন্নত দেশ হিসাবে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা সেটাকে আরও গতিময়তা আনবে ও কর্মসংস্থানের এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
এদিকে বাজেট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কদিন আগে যে কথা বলেছিলেন, আজকের বাজেটে সেটাই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’ অর্থাৎ শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বলার দরকার নেই। বলতে হবে, জো হমারি সাথ, হম উনকে সাথ।’
অভিষেক আরও জানিয়েছেন, ‘সরকার বাঁচাতে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। যারা সঙ্গে রয়েছে, তাদের জন্যই কেবল বরাদ্দ। কোনও রাজ্যের বরাদ্দের নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কেন বাংলাকে বারবার বঞ্চিত করা হবে?’
অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি জমানায় বাংলা ক্রমাগত বঞ্চিত এবং নিপীড়িত হয়েছে। এবার বাংলা থেকে ১২ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরও বাংলার জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। সরকার টিকিয়ে রাখতে শরিকদের উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে।’
সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাবে বিঁধেছেন তিনি। সেই সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন অভিষেক। তবে শুভেন্দু বিজেপি নেতা হিসাবে কেন্দ্রীয় বাজেটকে বেজায় প্রশংসা করেছেন। কোথাও কোনও খামতি রাখেননি।