উপনির্বাচনের ফল বের হতে এবার যেন আরও দিশেহারা বিজেপি শিবির। কোথা থেকে কী হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা। গত বিধানসভা ভোটের আগে একেবারে সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিয়ে যে বিজেপি ময়দানে নেমেছিল তাদের এখন কার্যত হতশ্রী অবস্থা। অনেকেই বলছেন, গত ৬ মাসে আরও যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেল দলটা। শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটায় ভোটের হারও একধাক্কায় কমে গিয়েছে প্রায় ১৪.০৫ শতাংশ। যে দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী গতবারে জিতেছিলেন ৫৭ ভোটে সেখানে এবারের উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল বেশ শোচনীয়। হাতছাড়া হয়েছে শান্তিপুর আসনটিও। এটা বিজেপির কাছে যথেষ্ট হতাশার। বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেও উপনির্বাচনের হেরে যাওয়া কার্যত ক্ষত তৈরি করেছে কর্মীদের মনে।
এবার সেই উদ্বেগের ছায়া পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্য়েও । সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় নেতারাও এবার জানতে চাইছেন কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? দল সূত্রে খবর সামনের সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। সেখানেই এই পরিস্থিতির কারণ জানতে চাইবেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
কেন বিজেপির দিক থেকে বাংলার বহু মানুষ এভাবে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন সেটাই জানার চেষ্টা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির কোর কমিটির সদস্যদেরও দিল্লিতে ডেকে পাঠাতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন শান্তিপুর ও দিনহাটা আসন দুটি হাতছাড়া হল সেটা জানতে চাইতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নিজের এলাকা দিনহাটাতে কেন এত শোচনীয় ফলাফল হয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে বিজেপির কাছে মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ।
এদিকে সবক্ষেত্রেই সন্ত্রাসের বিষয়টিকেই পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, যেখানে ৯২ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন ছিল, সেখানে কি সন্ত্রাসের অভিযোগ আদৌ ধোপে টেকে? তবে কি ভোটের পর আরও নড়বড়ে হয়েছে সংগঠন, আরও তলানিতে জনভিত্তি, নেতৃত্ব বদল করেও আখেরে ফল কিছু হয়নি? এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।