গত ডিসেম্বর থেকে সম্প্রীতির সেই ছবিটা যেন চোখের সামনে বদলে গেল। সাম্প্রদায়িক হানাহানির ক্ষত আজ মধ্যপ্রদেশের মালওয়ার বুকে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। বছরের পর বছর ধরে হিন্দু, মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একেবারে বন্ধুর মতো পাশাপাশি থেকেছেন। কোথাও কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু গত ২৯শে ডিসেম্বর রামমন্দিরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বেরিয়েছিলেন কয়েকজন। তারপরেই শুরু হয়ে গেল অশান্তি। চন্দনখেড়ি আর কানওয়াসা দুই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন। বিভিন্ন সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমস জেনেছে গত ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাস থেকে অনন্ত ১২টি সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা এই এলাকায় হয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীই একেবারে রাস্তায় বেরিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা যেন পিছু ছাড়ছে না মালওয়াকে।
চন্দনখেড়ির পঞ্চায়েত প্রধান অশোক পরাশিয়া বলেন, 'ক্ষত হয়তো একদিন শুকিয়ে যাবে। ঘরদোরও নতুন করে তৈরি হবে। কিন্তু আতঙ্ক কি কাটবে?' এদিকে মুসলিম সংগঠনের দাবি, বিজেপি এখানে কঠোর হিন্দুত্বকে প্রয়োগ করতে চাইছে। তার পরিণতিতেই এই পরিস্থিতি। অন্যদিকে Social Democratic Party of India, Popular front of India এর মতো সংগঠন এই অশান্তির জন্য দায়ী, দাবি গেরুয়া ব্রিগেডের। রাজনৈতির বিশেষজ্ঞ এলএস হারদেনিয়া বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন জেতার জন্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতারা কঠোর হিন্দুত্বকে প্রয়োগ করতে চাইছেন। অন্যদিকে মিমের মতো সংগঠনও স্থানীয় নির্বাচনে সহানুভূতির ভোট আদায় করতে চাইছে।’ এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র Social Democratic Party of India, Popular front of India এর মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন।