বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Kerala: স্বামীর অত্যাচারে আত্মঘাতী স্ত্রী, আদালতে দোষী সাব্যস্ত

Kerala: স্বামীর অত্যাচারে আত্মঘাতী স্ত্রী, আদালতে দোষী সাব্যস্ত

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুযা বিস্ময় ভি নায়ার

ইতিমধ্যে কেরলে এই পণ প্রথার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এর প্রতিবাদে রাজভবনে ২৪ ঘণ্টা অনশন করেন। সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পণ সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের।

সোনা, জমি ছাড়াও বিয়েতে পণ হিসাবে পেয়েছিলেন গাড়ি। কিন্তু গাড়ি পছন্দ হয়নি সরকারি কর্মচারীর। এর জন্য বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে কথা শোনাতেন তিনি। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন সরকারি কর্মচারীর স্ত্রী। অভিযোগের আঙুল উঠে স্বামীর দিকে। সম্প্রতি অভিযুক্ত স্বামীকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। সরকারি চাকরিটিও খোয়া গিয়েছে।

জানা যায়, ২০২০ সালের মে মাসে কেরলে পরিবহণ দফতরের কর্মী কিরণ কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুযা বিস্ময় ভি নায়ারের। বিস্ময়ের বাবা ত্রিভিকারমান নায়ার যৌতুক হিসাবে জামাইকে ১.‌২৫ একর জমি, ১০০ ভরি সোনা তো দিয়েছিলেনই, সেইসঙ্গে ১১ লাখ টাকা দামের একটি গাড়িও দিয়েছিলেন। কিন্তু গাড়িটি পছন্দ হয়নি কিরণের। সেইজন্য বিস্ময়কে নানাভাবে কথাও শোনাতেন। অত্যাচারের মাত্রা এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে ২০২১ সালে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন বিস্ময়। এরপরই বিস্ময়ের স্বামী কিরণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ৫০০ পাতার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। চার্জশিটে বিস্ময়ের আত্মহত্যার জন্য কিরণকেই দায়ী করা হয়। সম্প্রতি আদালত কিরণকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

ইতিমধ্যে কেরলে এই পণ প্রথার বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এর প্রতিবাদে রাজভবনে ২৪ ঘণ্টা অনশন করেন। সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পণ সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। পণ নেওয়া আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পড়ুয়াদের থেকে আন্ডার টেকিং নিতে বলা হয়। সেখানে বলা হয়, ভবিষ্যতে পণ না নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবেন পড়ুয়ারা। যদি কেউ এর অমান্য করে, তাহলে তার ডিগ্রি বাতিল করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বন্ধ করুন