বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পুলিশকর্মী স্বামীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মহিলা কনস্টেবলের, প্রতিবাদে ধরনায় বধূ

পুলিশকর্মী স্বামীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মহিলা কনস্টেবলের, প্রতিবাদে ধরনায় বধূ

বিয়ের পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে সহকর্মী মহিলা কনস্টেবলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন বধূ।

কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ন্যায়ের দাবি জানিয়ে অবস্থানে বসেন ওই বধূ।

সহকর্মী মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন পেশায় পুলিশকর্মী স্বামী। আপত্তি জানালে জুটেছে শারীরিক নিগ্রহ ও হত্যার হুমকি। এর জেরে গাজিয়াবাদ এসএসপি আবাসনের বাইরে ধরনায় বসলেন অভিযুক্ত কনস্টেবলের স্ত্রী।

মহিলার দাবি, বিবাহ বহির্ভূচত সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তোলায় তাঁকে মারধরের পরে খুন করবেন বলে শাসিয়েছেন স্বামী। অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ন্যায়ের দাবি জানিয়ে অবস্থানে বসেন ওই বধূ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনেক বুঝিয়ে মহিলাকে নিরস্ত করেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তাঁদের কাছে বিচারের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান তুলে নিয়েছেন নির্যাতিতা। 

আদতে শামলির বাসিন্দা মহিলা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ওই কনস্টেবলের বিয়ে হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে তাঁরই সহকর্মী মহিলা কনস্টেবলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। 

বধূর অভিযোগ, বিয়ের সময় তাঁর স্বামী রামপুরে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি সাহারানপুরে বাপের বাড়িতে বসবাস করতেন। বিয়ের কয়েক মাস পরে গর্ভবতী হলে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতে রামপুর পৌঁছান। তখনই তিনি স্বামীর দ্বিতীয় সম্পর্কের কথা জানতে পারেন।

তাই নিয়ে প্রতিবাদ জানালে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন বলে বধূর অভিযোগ। এর পরে অভিযুক্ত কনস্টেবলের গাজিয়াবাদে পোস্টিং হলে তিনি সেখানে চলে যান এবং তার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফোনে যোগাযোগ করলে নিজে পুলিশকর্মী জানিয়ে স্ত্রীকে হুমকি দেন অভিযুক্ত। এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়েই বৃহস্পতিবার ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন বধূ। 

এ দিকে খবর পেয়ে অবস্থানরত বধূর কাছে পৌঁছে যান সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সেই খবর পেয়ে তৎপর হয়ে প্রতিবাদী বধূকে বুঝিয়ে অবস্থান তুলতে উদ্যোগী হন ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তারা।

বন্ধ করুন